পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SC3 সদাশয় বৃটিশ গবৰ্ণমেণ্টের শেষ অনুগ্রহ দৃষ্টি পড়িয়াছিল, মহাত্মা গান্ধীর উপর। গান্ধীজী রাজ অতিথিশালায় নীতি হইলে তিনি মরহুম হাকিম আজমল খাঁ ছাহেবের হাতে সেই বিরাট আন্দোলনের কত্ত্ব ত্বভার অৰ্পণ করেন। তিনিই তখন ভারতের জাতীয় আন্দোলনের “ডিক্টেটর" নিৰ্বাচিত হন। তখন তিনি প্ৰতি মুহুর্তে অতিথিপরায়ণ রাজ সরকারের পর ওয়ানার অপেক্ষায় রাজ অতিথির যোগ্যতা অর্জনে বিশেষ মনোনিবেশ করেন। আশৈশব ভোগ বিলাসের ক্ৰোড়ে লালিত পালিত হইয়াও, আজমল খা খাট-পালঙ্গ মখমলের গদী তোষক ছাড়িয়া খন্দরের চাদর ও কম্বল মাত্ৰ ‹ባ❖ደ সম্বল করতঃ মেজের উপর শুইবার অভ্যাস করিতে ব্যস্ত চষ্টয়া পড়েন। এক দিকে চির অভ্যাসের বিপৰ্য্যয়ে এবং অন্য দিকে স্বার্থপর পর পদলেহী দলের নানা যড়যন্ত্রের ফলে দেশে যে সকল ভীষণ সাম্প্রদায়িক সংঘর্যের সূত্ৰপাত ঘটে, তাহা দেখিয়া পৃষ্ঠাহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয়। কিন্তু শরীর ভঁাচার দুৰ্বল ও অসুস্থ হইয়া পড়িলেও পৃষ্ঠাতার মন কপিন ও নিরাশ ও নিস্তেজ হয় নাই । মহাত্মা গান্ধী যখন ২১ দিনের উপবাস ব্ৰতের পর অবসন্ন হইয়া পড়িলেন, তখন ও জনাব মছিগুলি মুস্ক হাকিম আজমল খাঁ দেশকে গৃহ বিবাদের বা আত্মধ্বংসের নেতা সম্মিলন হইতে শিমলার মিলন-বৈঠক পর্যন্ত সৰ্ব্বত্র তাত হাঁটতে রক্ষণ করার জন্য প্ৰাণপণে চেষ্টা করেন । অন্যতম অগ্ৰদত ছিলেন। —“আজমল খা । মিলন-প্ৰস্তাবের তাহার সেই "আন্তরিক যত্ন ও চে সুফল প্রসব করিয়াছে, ঠাঙ্গার সাধনা সফল চইয়াছে। অবশেষে জনাব মছিগুল মুগ্ধ হাকিম মোহাম্মদ আজমল খাঁ ছাহেবের আর একটী কীৰ্ত্তির পরিচয় দিতে ইচ্ছা করি। জাতীয় শিক্ষার প্রতি র্তাহার স্বাভাবিক 'আকর্ষণ ছিল । জীবনে তিনি কত শত জাতীয় শিক্ষাগারের সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা করিয়াছেন, তাহার শুমারি করা কঠিন। নিজের বুদ্ধি বা বাহুবলে হাকিম ছাহেব যত অর্থ উপাৰ্জন করিায়াছেন, ভারতবর্ষে অন্য কোন বাক্তি, অন্ততঃ আইন চিকিৎসা প্রভৃতি ব্যবসায়ী কোন বৃদ্ধিজীবি, এত অর্থ উপাৰ্জন করেন নাই, তাহা সুনিশ্চিত । তাহার সোপার্জিত সেই ষ্টা এবার ম{া জ। কংগ্রেসে মাসিক মোহাম্মদী [ ১ম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা অগাধ অর্থ সম্পূর্ণ তিনি নিজের এবং নিজের পরিবারের ভোগ বিলাসে ব্যয় করেন নাই। তাই অবশেষে জাতীয় শিক্ষা বিস্তার কল্পে জাতীয় বিশ্ব-বিদ্যালয় বা জামে আ মিল্লি য়ার সেবায় তিনি "আত্মনিয়োগ করেন । জামে আ-মিল্লিয়ার পরিচয় বোধ হয়, অনাবশ্যক । অসহযোগ আন্দোলুনের উঠা একমাত্র না হইলেও সৰ্বপ্ৰধান স্মৃতি। বঙ্গব্যবচ্ছেদ কালীন স্বদেশী আন্দোলনের ফলে ভারতবর্সে বহু কাপড়ের কল স্থাপিত হয় । কিন্তু অসহযোগ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য চরখা ও চরখার স্মৃ তা তেমন স্টাবে দৃশ্যমান হয় নাই। তবে জাতীয় শিক্ষার নামে স্বদেশী আন্দোলনের ফলে স্বরূপ যে “ন্যাশনাল কৌসিল অব এডুকেশন” এবং তাঙ্গার পরিচালিত ডাক্তারী স্কুলটিকে জাতীয় শিক্ষা বলা চলে। কিনা, তাহাতে যথেষ্ট মতভেদ আছে । কিন্তু গত অসহযোগ আন্দোলনের f5 fza Nationai university a S2 ff প্ৰতি বর্ণে জাতীয়। আলিগড়ে স্থাপিত হইয়া বৰ্ত্তমানে উতা দিল্লীতে স্থানান্তরিত হইয়াছে দূর করার ও হাকিম ছাহেবের পৃষ্ঠপোষকতা লাভের জন্য কিন্তু প্রচুর অর্গ স{টা ঘ্য সত্ত্বে ও নানা কারণে হাকিম ছাহেব তিনিয়া কলেজের ন্যায়ু উচ্চাকে দৃঢ় ভিত্তির জামে আর অর্থ-সঙ্কট এই ব্যবস্থা । উপর। প্ৰতিষ্ঠা করিয়া যাইতে পারেন নাই । কাজেই জামে আ "আজ তাঙ্কার গুণগ্ৰাষ্ট্ৰীগণের সাহায্যের মুখাপেক্ষী। নদীর জোয়ারের ন্যায় পৰ্ব্বাধীন জাতির জীবনে এক একবার জোয়ার আসে। আর চলিয়া যায়, “জামে অ-দিল্লিখু!” মত এক একটা খাদ রাখিয়া । এই খাদ হইতে উপকার গ্ৰহণ নির্ভর করে, জাতির সুবুদ্ধি ও কৰ্ম্মকুশলতার উপর। হাকিম ছাহেবের গুণানুরক্ত ভক্তগণ তঁহার এই অসমাপ সাধনাকে পূর্ণপরিণত ও সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর করিয়া তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা ও যা, কুর ত্রুটি করিবেন না, এ আশা আমাদিগের আছে । হাকিম ছাহেবের পুণ্যস্মৃতিকে জাগাইয়া রাখার একমাত্র উপায় হইতেছে--হিন্দু , মুছলমানের সম্মিলিত শক্তিকে স্বরাজ সাধনে নিয়োজিত করাতে ।