পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ, ১৩৩৪ সাল ] LSLALM LLeSLLLMLAAqLeLeeLLALALAL LqLLLE eAA নিচয়ের মধ্য দিয়া জ্ঞানের স্থল উপকরণ সমূহ আহরণ করিয়া থাকে। একথা আমাদিগকে স্মরণ রাখিতে হইবে যে, পঞ্চ-বোধেন্দ্ৰিয় আমাদের জ্ঞানার্জনের পক্ষে বিশেষ প্ৰয়োজনীয় জিনিষ। ইহার মধ্যে অন্য কোন দুজ্ঞেয় রহস্য নাই। তবে আমরা যে চারিটীি ও ছয়টার পরিবর্তে পাঁচটী বোধেন্দ্ৰিয় লাভ করিয়াছি, তাহার কারণ, ক্রমবিকাশের দৈব ঘটনা ব্যতীত অন্য কিছুই নয়। আমাদের বহুকাল পূর্বের পূর্ব-পুরুষগণের এক স্পর্শেন্দ্রির সাম্বল ছিল, সেই স্পর্শেন্দ্ৰিয় ক্রমবিকাশের ফলে ধীরে ধীরে পাঁচটী বিশেষ বোধেন্দ্ৰিয়ে রূপান্তরিত হইয়াছে। সুদূর ভবিষ্যতে হয়ত আরও এমন বোধেন্দ্ৰিয়ের বিকাশ সম্ভব হইবে, যাহা বৰ্ত্তমানে আমাদের কল্পনারও অতীত। এখন দেখা যাউক, ইহা হইতে আমরা কি বুঝিতে পারি। ক্ষুদ্র কীট বা ঐ শ্রেণীর নিকৃষ্ট জীব-যাহারা স্পর্শ বা অনুভূতির উপযোগী একটিমাত্র ইন্দ্ৰিয় লাভ করিয়াছে, তাহাঁদের নিকট এই ভগৎ মূলতঃ পৃথকরূপে বা পৃথকভাবে প্ৰতিভাত বা অনুভূত হয়। লতাপুষ্পের মনোমুগ্ধকর বর্ণ-বৈচিত্ৰ্য, প্ৰাণীকুলের সুসামঞ্জস গঠন-সৌন্দৰ্য্য, মানুষ এবং পক্ষীর সঙ্গীতের সুর-সঙ্গতি —এক কথায়, যে-সমস্ত রূপ বা অনুভূতির বলে এই পৃথিবী স্বৰ্গতুল্য মনে হয়, যাহা আমাদের অন্তরের মধ্যে চরমোৎকৰ্ষ লাভের প্রবল আকাজক্ষা জাগাইয়া দেয়, এই ক্ষুদ্র কীট বা তৎশ্রেণীর জীবের জীবনে তৎসমুদয়ের আদৌ কোন স্থান নাই। মানুষের মধ্যে যে বিধিদাত্ত প্ৰতিভা বিদ্যমান আছে, যা তার উপর তাহার বিজ্ঞান, ধৰ্ম্ম, দর্শন, রাজনীতি-—এক কথায় তাহার জীবনের সমস্ত-কিছু নির্ভর করে, সেই প্ৰতিভাবৰ্জিত হইয়া এই দুৰ্ভাগ্য কীট, বস্তুসমূহের ক্রমপৰ্য্যায় সম্বন্ধে ধারণা করিতে পারে না ; কাৰ্য্যকারণ পরম্পরা বা সহবৰ্ত্তন-ক্রিয়া তাহার নিকট সম্পূর্ণ অজ্ঞাত এবং এষ্ট নিখিল সৃষ্টি যে সুশৃঙ্খলার সহিত সুনিয়স্থিত, এরূপ ধারণা করা তাহার সঙ্কীর্ণ জ্ঞানশক্তির অতীত । ح----۔ ہ"ت؟ a -rr ܝܡ έξι ε ένες \8ਕੋਜ S CBN V6 AF 4 WTA WAT -Y WY’ WA -- be s বুঝা যায়, বোধেন্দ্ৰিয় সমূহের আধিক্য বা অল্পতার দরুণ জীবিত প্ৰাণীকুলের মধ্যে পার্থক্য কত অধিক ! এক্ষণে এমন একটা প্ৰাণীর সম্বন্ধে আলোচনা করা যাউক, যে ক্রমবিকাশেব দিক দিয়া ক্ষুদ্ৰকীট অপেক্ষা বহুগুণে শ্ৰেষ্ঠ এবং ইন্দ্ৰিয় সংখ্যার হিসাবে যে মানুষ অপেক্ষা একটিমাত্র কম ইন্দ্ৰিয়ের অধিকারী। মনে করুণ-ছুচা । শুনা যায়, ছুচা অন্ধ প্ৰাণী । তর্কের খাতিরে যদি আমরা তাহার এই অন্ধত্বকে স্বীকার করিয়া লই, তাহা হইলে বলিতে হইবে, তাহার অন্ধত্ব ব্যতীত অন্যান্য যে সমস্ত BBBD S DBBB DBDDS DBD DDD BBDBBDDD অধিকারী। সে শুনিতে পায়, ভ্ৰাণ লইতে পারে, আস্বাদ গ্ৰহণ বা স্পর্শ করিতে পারে, কেবলমাত্ৰ দেখিবার শক্তি তাহার নাই। তাছার জগৎ কেবলমাত্র শীতাতপসম্পন্ন জড়বস্তু নহে, তাহার মধ্যে ( বেসুরে হইলেও ) সে সঙ্গীত শুনিতে পায়, ( তীব্ৰ হইলেও ) অস্ত্ৰাণ পায়, ইহা ছাড়া দ্রুত গতিশীল পদলাভ করায় এবং চঞ্চল ভাবে চলাফেরা করিতে পারায় তাহার জগৎ আকারে । ও গঠনে ক্ষুদ্ৰাকীটের ধূলিসৰ্ব্বস্ব সঙ্কীর্ণ জগৎ অপেক্ষা দূরপ্রসারী ও বৈচিত্ৰ্যপূর্ণ বলিয়া মনে হয়। কিন্তু তবুও আমাদের এই জাকজমকপূর্ণ সৌন্দৰ্য্যময় জগতের সহিত এই ছুচার জগতের কোনই সাদৃশ্য নাই । নীল আকাশের উদার প্রসার, নক্ষত্রপুঞ্জের মনোমুগ্ধকর প্ৰশান্ত জ্যোতি, লতাপুষ্পের পেলাব সৌন্দৰ্য্য তাহার নিকট সম্পূর্ণ অপরিজ্ঞাত। তুষারমণ্ডিত শৈলরাজির বিপুল । গরিমা, সমুদ্র-তরঙ্গের উন্মাদ নৰ্ত্তন, বর্ষান্ধীতা তটিনীর প্ৰবল প্ৰবাহ তাহার অন্তরে কোন ভাব বা উচ্ছাসের উদ্রেক করিতে পারে না এবং এই অনুভূতির অভাব বশতঃ তাহার জগৎ তাহার নিকট অসমঞ্জস বক্রতা সম্পন্ন, তীব্ৰ । গন্ধ বিশিষ্ট কতকগুলি কোমল ও কঠিন বস্তুর সমষ্টি ব্যতীত ۔ 1- ختحدہ مچہ جیم ۔۔F .=۔ | ||