পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র, ১৩৩৪ সাল ] নব পৰ্য্যায় না। নব পৰ্য্যাক্স । NSORS) MMMMMM*A*A. arall...'r 1YWALAM/MA. A. A. W. W. W9 A AYA-AP Var MapMAYNAYAM LLLLLL LLLL LL LLLLLLLAALLLLLAAAAALLAAAAA ALLLLL LLLLLAALLLLLA MALLL LLLL LLLLLLLLSLLLLLLLL LL LLLAALSLMAAS LLLLAALLLLLLL LLLLLLLLS LS LLLLLLLALALALSL LLLLL LL LLL Lq SLLLL LL Asyria arWarwr arbraha. Mab AQYbY*Y-AYMh6 aA বলিয়া এই সত্যটাকে স্বীকার ও গ্ৰহণ করিয়া থাকে, পাঠক তাহা হিসাব করিয়া দেখুন। হজরতের মানবত্বের এমন কি দাসত্বের বিশ্বাস যে মুছলমানের ধৰ্ম্ম জীবনের প্ৰতিস্তরে প্রতি রন্ধে, তাহার অন্তরের অন্তস্তলে এমন গভীর এমন স্পষ্ট এবং এমন স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত-যুগে যুগে দেশে দেশে এবং দুনিয়ার রন্ধে রন্ধে পীর পয়গম্বরগণের অতি-মানবতা প্ৰভৃতি অন্যায় সংস্কারের বিরুদ্ধে একমাত্র যে সমাজ কঠোর প্রতিবাদ ধ্বনিকে বজ্ৰকণ্ঠে জাগরিত করিয়া রাখিয়াছে ; তাহদের প্রতি হজরতকে “মানব” বলিয়া স্বীকার না করার অভিযোগের ন্যায় জঘন্য মিথ্যা আর কি হইতে পারে ? (Ned) কাজী ছাহেব নিজেই স্বীকার করিতেছেন যে :- (১) হজরত মোহাম্মদ একজন মহাপুরুষ এবং সত্য তাহার সমগ্র জীবনের মধ্যে এক আশ্চৰ্য্য দৃঢ় রূপ ধারণ করিয়াছিল। (২) হজরত মোহাম্মদ মানুষের ইতিহাসের বিশেষ স্তরে শক্তি-মহাক্স্যে সুপ্ৰকট হইয়াছিলেন। (৩) আল্লার হুকুমে সাধারণ ও শক্তিমান বলিয়া মানুষের দুইটা বিভাগ অনন্ত কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। কিন্তু এসব কথা স্বীকার করার পর তিনি আপত্তি করিয়া বলিতেছেন :-“র্তার কথা, চিন্তার ধারা চিরকালের জন্য মানুষের পথকে নিয়ন্ত্রিত করে দিয়েছে, একথা বিশ্বাস করলে মানুষরূপে তার সাধনাকে যে চরম অপমানে অপমানিত করা হয়, কারণ সমস্ত সাধনার যা লক্ষ্য, সেই আল্লার উপলব্ধি মানুষের দৃষ্টিপথ থেকে রুদ্ধ হয়ে যায়।” আল্লার উপলব্ধি মানুষের দৃষ্টিপথ থেকে রুদ্ধ হয়ে যায়-এ পদটীর তাৎপৰ্য্য ও সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য উদঘাটন করিতে আমাদের মত অনেককে বোধ হয়। প্ৰমাদ গণিতে হইবে। প্রথমতঃ উপলব্ধি হইতেছে দৃষ্টিপথে, আবার সে উপলব্ধি ব্ৰুভদ্ধ হইয়া যাইতেছে সে দৃষ্টিপথ হইতে। অদার্শনিক ও অসাহিত্যিক আমরা, কাজী ছাহেবের এই বাণীর কষ্টে-চেষ্টায় যতটুকু মৰ্ম্মোদ্ধার করিতে পারিয়াছি, তাহার সারা এই যে, হজরতের কথা এবং তঁহার চিন্তা চিরকালের তরে মানুষের গতিপথকে নিয়ন্ত্ৰিত করিয়া দিয়াছে’-এরূপ বিশ্বাস করিলে হজরত মোহাম্মদ মোস্তফার মানুষরূপে কৃত সাধনাকে চরম অপমানে অপমানিত করা হয়। ইহা হইতেছে অধ্যাপক ছাহেবের দাবী-এবং প্রমাণ শূন্য দাবী। আর এক প্ৰমাণশূন্য দাবী দ্বারা প্ৰথম দাবীটা সপ্রমাণ করার উদ্দেশ্যে তিনি খুব গম্ভীরভাবে বলিতেছেনকেননা ঐ রূপ বিশ্বাস করিলে চিরজাগ্ৰত চিরবিচিত্র আল্লার উপলব্ধি করার পথ বন্ধ হইয়া যায়। এখন কেহ যদি বলে, “অধ্যাপক ছাহেবের উল্লিখিত দাবী দুইটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উহার সহিত সত্যের কোনও সম্বন্ধ নাই। বস্তুতঃ হজরত মোহাম্মদের কথা ও চিন্তার ধারা মানুষের গতি পথকে চিরকালের তরে নিয়ন্ত্রিত করিয়া দিয়াছে, একথা বিশ্বাস করিলে তঁহার সাধনাকে প্ৰকৃত সম্মানে সন্মানিত করা হয়। কেননা তিনি নিজের সত্যময় জীবনে বিশেষ DDBDBDDDBSB SDLDDS SMBD DDBD S S LL SDBD উপলব্ধি করার সরল শাশ্বত সাধন পাথকে সম্পূর্ণরূপে আয়াত্ত করিয়া লইয়াছিলেন, চিরজাগ্ৰত চিরবিচিত্ৰ আল্লার পূর্ণ উপলব্ধি লাভে। হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা বিশেষ ভাবে সমর্থ হইয়াছিলেন"- তাহা হইলে কাজী ছাহেবের দার্শনিকতার তুলনায় এই সাম্প্রদায়িক মুছলমানের আদর্শ নিকতার মূল্য কোন অংশে কম হইবে না। কাজী ছাহেব বলিবেন- তোমাদের এ কথাগুলি আমরা শুনিব না, কারণ উহার সমর্থনে কোনও যুক্তি প্ৰমাণ তোমরা প্ৰদান করিতে পার নাই। তখন কাজী ছাহেবের উত্তরে হাজী ছাহেবের দলও সমান গম্ভীরতা সহকারে উত্তর করিবেন।-কোন প্ৰকার দাবী করিলে তাহার সমর্থনে কথ্যভাষায় কতিপয় অবোধ্য ও অকথ্য কঠিন শব্দের অশুদ্ধ প্ৰয়োগ দ্বারা জটিল সমাস বিন্যাস পূর্বক কতকগুলি দীর্ঘ পদের স্বষ্টি করিয়া দেওয়াই যথেষ্ট, দার্শনিকতার আধুনিকতার ইহাই হইতেছে একটা বিশেষ ভঙ্গিমতা এবং তাহার সর্বাপেক্ষা অকাট্য প্ৰমাণ হইতেছেন-স্বয়ং অধ্যাপক কাজী আবদুল অদুদ ছাহেব। ন্যায়নিষ্ঠ পাঠক তাহা হইলে এই হাজী ছাহেবদের কথাগুলিকে, অন্ততঃ উপস্থিতের মত, একেবারে অগ্ৰাহা করিয়া দিতে বোধ হয় সমর্থ হইবেন না। ভবিয়ুতে লেখনী ধারণের সময় কাজী ছাহেব তাহার বর্তমান রীতির একটু পরিবর্তন করিয়া দিলে আমরা বিশেষ আনন্দিত ও অনুগৃহীত হইব।