খান দাওরান নাসূরাৎ, জঙ্গ বাহাদুর [ আবু লোহানী ] --door মোসলমান-শাসিত ভারতবর্ষের ইতিহাস আলোচনা করিলে এমন অনেক মহাপুরুষের নাম দেখিতে পাওয়া যায়-যাহাঁদের গৌরবময় কীৰ্ত্তিকলাপের স্বর্ণোজ্জল কিরণ সম্পাতে একদিন মোসলেম জগত সমুদ্ভাসিত ছিল। আজ আমরা ভারত ইতিহাসের একপৃষ্ঠা হইতে ‘মোহাম্মদীর' পাঠকগণের তৃপ্তির জন্য সেইরূপ একজন মহাজনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় প্ৰদান করিতেছি। প্ৰবন্ধের শিরোভাগে যাহার নামটা উল্লিখিত হইল, তিনি স্বনামখ্যাত সম্রাট শাহজাহানের সমসাময়িক একজন ইতিহাসপ্ৰসিদ্ধ লোক। তঁহার প্রকৃত নাম ছিল খাজা সবির। র্তাহার পিতার নাম ছিল খাজা হিসারী এবং তিনি নকশবন্দ তরিকায় দীক্ষিত ছিলেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর খাজা হিসারীকে উচ্চ রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত করিয়া দাক্ষিণাত্যে প্রেরণ করিয়াছিলেন। পুত্ৰ খাজা সবির পিতার আদেশে শিক্ষালাভের জন্য রাজধানীতেই অবস্থান করিতেছিলেন। প্ৰধান মন্ত্রী খান খানান আমীন উদদাওলা আসাফ খান যুবকের অসাধারণ বুদ্ধি-প্ৰাখৰ্য্য দেখিয়া তাহার যথোচিত শিক্ষার বন্দোবস্ত করিয়া দেন। কিন্তু যুবক সবির লেখাপড়া শিক্ষা করাকে কষ্টসাধ্য দেখিয়া খান খানানের সংশ্রব ত্যাগ করিয়া দক্ষিণাত্যে পলায়ন করেন। এবং নিজাম শাহের দরবারস্থিত জনৈক বন্ধুর সাহায্যে তথায় শাহের দেহরক্ষী নিযুক্ত হন। লক্ষ্মী সরস্বতীর সহিত চির বিরোধ বৰ্ত্তমান বলিয়া হিন্দু লেখকগণ যেরূপ বলিয়া থাকেন, বোধ হয় তদ্রুপই যাহারা বীরকার্য্যের জন্য পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন—তাহারাও পুস্তক-কীটের ন্যায় পঠিতব্য গ্রন্থাবলী-সমুদ্রেই আমরণ নিমজ্জিত থাকাকে অনভিপ্ৰেত বলিয়া মনে করেন। যাহা হউক, খাজা সবির। রাজধানী হইতে পলায়নপূর্বক নিজাম শাহের অধীনে কাৰ্য্য গ্ৰহণ করিলেও তথায় তিনি বেশীদিন অবস্থান করেন §um=8 নাই। নিজাম শাহের দেহরক্ষীরা কাৰ্য্য তঁহার মনঃপূত না হওয়ায় খাজা সবির উক্ত পদে ইস্তাফা প্ৰদানপূর্বক যুবরাজ শাহ জাহানের নিকট উপস্থিত হন। গুণের সন্মানকারী যুবরাজ শাহজাহান খাজা সবিরকে পার্শ্বচর নিযুক্ত করিয়া নাসিরী খান” উপাধি প্ৰদান করেন। খাজা শাহজাহানের নিকট খুব বিশ্বস্ততার সহিতই কাৰ্য্য করিতে থাকেন। তিনি যুবরাজের কাৰ্য্যে এমনই ভাবে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন যে, সময় সময় যুবরাজের ঘোড়ার জিন ও লাগাম স্বহস্তে ঠিক করিয়া দিতেও দ্বিধাবোধ করিতেন না। তুনিসের যুদ্ধে খাজা সবির নাসিরী খান শাহজাহানের সৈন্যবাহিনীর অধিনায়কত্ব করিয়াছিলেন এবং অসামান্য বীরত্বের পরিচয় প্ৰদান করিয়াছিলেন। শাহজাহান তাহার সিংহাসনারোহণের দ্বিতীয় বর্ষে এই বীরত্বের পুরস্কার স্বরূপ নাসিরীখানকে তিন হাজারী পদে উন্নীত করিয়াছিলেন। পর বৎসর খান জাহান লোদী ও মালিক নিজাম শাহ প্ৰভৃতির বিরুদ্ধে সম্রাট শাহজাহান যখন গজরাজসিংহের নেতৃত্বে এক বিপুল সেনাদল প্রেরণ করেন, তখনও নাসিরীখান উক্ত বাহিনীর সহযাত্রী হইয়াছিলেন। কিন্তু এই উচ্চাকাঙ্খী বীর যুবক সামান্য সেনানায়কের কাৰ্য্যে সন্তুষ্ট না থাকিয়া এক পত্রে সম্রাটকে লিখিয়া জানান যে, যদি তালিখণী ও কান্দাহার-বিজয়ে সম্রাট রাও রতনকে DBD BuDD DDDBBDBD uDS BDBDBB DD DBD BDDBBB মধ্যেই সম্রাটের বাসনা পূরণে সক্ষম হইবেন। পত্র পাঠান্তর সম্রাট নাসিরীখানকে চরহাজারী পদে উন্নীত করতঃ “নসরৎজঙ্গ’ উপাধী প্ৰদান পূর্বক তাহাকেই কান্দাহার বিজয়ে প্রেরণ করেন । নাসরৎজঙ্গ কান্দাহার-অভিযানের ভারপ্রাপ্ত হইয়াই ত্বরিৎ গতিতে কান্দাহারে উপনীত হন এবং তািত্ৰত্য শাসনকৰ্ত্ত সরফরাজ খানকে সন্মুখ যুদ্ধে পরান্ত করতঃ দুৰ্গ ।