osateas* [ রাজিয়া খাতুন ] animeOSom “গাড়ী যে এসে গেল বেগম সা’ব, আপনার সাজা কি হয় না ? ও-রূপে সাজতে হয় না। ও-এমনিই দুনিয়া আলো করে।” “দূর মুখপোড়া বাদরি !” বলিয়া সপ্তদশ বর্ষীয়া যুবতী তাহের আয়নার সম্মুখ হইতে সরিয়া আসিল। তাহার পরনে একখানা ফিকা নীল রংএর সাচ্চা কাজ করা রেশমী শাড়ী ও সেই রকমই ব্লাউস, জ্যোৎস্না নিন্দিত বর্ণে সেই সজ্জা দেখিয়া বোধ হইতেছিল--নক্ষত্রমালা খচিত নীল আকাশ যেন তার রূপ-মোহে মুগ্ধ হইয়া ধারণীতে নামিয়া আসিয়াছে। শাড়ীখন নব্য ধরনে পরা । সাজসজ্জার কোন বাহুল্য নাই। হাতে মিহি দুইগাছ জড়োয় ব্রেসলেট। গলায় বড় বড় মুক্তার এক ছড়া মালা ও কাণে দুইটী হীরার দুল। কঁধের উপর মুক্তার ব্ৰোচ, এ ছাড়া অন্য অলঙ্কার ছিল না ! চুলগুলি সাদাসিধাভাবে প্লেন করিয়া আঁচড়ানো । ঝি ও ছোট দেবরাটীকে ডাকিয়া লইয়া সে বেড়াইতে চলিয়া গেল। নীচে বৃদ্ধ পিস-শ্বাশুড়ি বক্ বক্ করিয়া বকিতে লাগিলেন ; “বাপু তুই হলি ঘরের বউ, তোর কেন ধিঙ্গি হ’য়ে বেড়ানো ! মোটে এক বছর হলো বিয়ে হয়েছে ! আমাদের দেশের বউয়েরা পাচ ছেলের মা হ’য়েও ঘোমটা ফেলে কথা কয় না। আবার বেড়াতে যাওয়া । আর তো দিনরাত স্বামীর সঙ্গে মুখেমুখি হ’য়ে গল্প আর “ইনজিরি” কেতাব পড়া ; তুই কি উকিল ব্যালেষ্টর হবি ? তা ঘর-কান্নার কাজ কৰ্ম্ম রাধা বাড়া বউ ভালই করে। কবুলে কি হয় ? ফেরিসৎ পেলেই ওই কেতাব পড়া আর বেড়ানো । বউ মানুষ, কাজ কন্মে অৰসর হয়ে গল্প-সল্প করবি। তাস দাবা দশ পচিশ খেলবি ৷ না হয় দু’দণ্ড ঘুমুলি। তোদের এখন ওই করবার সময়। DOD DBDB BB DBB BDH SS BBDLBD DD DBD বেণারসী শাড়ীখানা পরে হাতে দশ ভরির ব্রেসলেট, পায়ে পনের ভরির মল। চুড়ি হার, সোফলেন, সাত লহরী ne চিক-বালা আংটি, বাজু, জশম, তাবিজ, ইয়ারিং সব পরবে, চুলগুলি ভুরু অবধি নামিয়ে সিথি পরে জাদের খুপি দিয়ে পেরজাপতি খোপা বেধে জরির জুতা পায়ে দিয়ে যাৰে, তবে তো লোকে বলবে যে হো বউ বটে।” আল্লার নামে বড়াই ক’রে বলতে পারি, এখনো এমন সাজানো সাজিয়ে দেব যে দশ গায়ের লোকে দেখে চেয়ে থাকবে । দাঁতে একটু মিশি নেই, চোখে কাজল নেই, হাতে মেহদি নেই। একে কি লোকে বউ বলে ? গীটু গাঁট ক’রে বেরিয়ে গেল যেন এক খিষ্টেন মাগি । অবাক করলে মা-অবাক করলে ! কাকেই বা কি দোষ দেব, ছেলের পছন্দও তেমনি। নইলে আমার ভাশুর ঝি হামিদ ছিল, চৌদ্দ বছরের মেয়ে। ঐটুকু মেয়ের কি গুণ ? একশত লোককে রোধে বেড়ে খাওয়াতে পারে। তা ছাড়া ইনজিরি পড়তে আর জামা সেলাই করতে না জানলেও কঁথা সেলাই করতে আর উকুন বাছতে তার জুড়ি নেই। সুর করে যখন রোস্তম সোহরাবের পুথি পড়ে, তখন চোখে পানি এসে शांब्र। cन cभcअब्र कांटछ q ८यो ! श: !" गश्ल ब्रiभूনীকে প্ৰবেশ করিতে দেখিয়া তাহার চিন্তান্ত্ৰোত অন্যদিকে ফিরিল। তিনি তসবিহা হাতে করিয়াই রান্নাঘরের দিকে চলিলেন । তাহের কলিকাতার কোন সন্ত্রান্ত পরিবারের সন্তান । BDBDBB SBBDS S DBBBDDBK DD DD D S নিজেও একজন প্ৰতিপত্তিশালী ব্যারিষ্টার। সুতরাং মাসে প্ৰায় ৪৫ হাজার টাকা আয় হইত। প্ৰকাণ্ড ত্রিতল বাড়ী। লাইট, ফ্যান, মোটর, দাসদাসী, বিলাসীতার আবশ্যকীয় সরঞ্জাম সব ছিল। ছিল না। শুধু গৃহের শোভা, নয়নের আলো পুত্ৰ-কন্যা। অবশেষে বহু আরাধনার পর মধ্য বয়সে এই তাহের জন্মগ্রহণ করে। বলাবাহুল্য নিঃসন্তান পিতা মাতার নিকট ইহাই শত-পুত্র তুল্য। তাহেরা বহু