পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਵਿਕ ( রেজাউল করিম ) ( ජෛන ) মুসলমানগণ ভিন্নদেশ অধিকার করিয়া তথাকার অধিবাসীদের ( জিমী ) প্ৰতি কিরূপ ব্যবহার করিয়াছিল তাহা পূর্বেই কতক কতক উল্লিখিত হইয়াছে। যখনই মুসলমান কোন দেশ অধিকার করিয়াছে, তথাকার অধিবাসিদের প্রতি সদ্ব্যবহার করিবার জন্যই যেন স্বত্বঃ প্ৰবৃত্ত হইয়া তাহদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব-ভার তাহারা নিজ স্কন্ধে গ্ৰহণ করিয়াছিল। শুধু রক্ষা করিবার ভার গ্ৰহণ করিয়াই ক্ষান্ত থাকে নাই, যাহাতে কোন কৰ্ম্মচারী তাহাদের প্রতি অসদ্ব্যবহার না করিতে পারে তজজন্য কঠোর ব্যবস্থা ও প্ৰবৰ্ত্তিত ছিল। জিমী দিগকে সৰ্ববিধ আপদ বিপদ হইতে রক্ষা করিবার জন্য র্তাহারা সর্বদাই বিশেষ চেষ্টা করিতেন । দেশে শান্তিরক্ষা করিতে হইলে, সৈন্যের বিশেষ প্ৰয়োজন । সৈন্য দেশ রক্ষা দেশের অন্তর্বিপ্লব দমন করে, তাহারা আপন আপনি বুকের রক্ত পাত করিয়া স্বদেশের গৌরব রক্ষা করে। দেশে *iát Standing arny eti QifFCel, CWei fáCre বিপ্লবের লীলা নিকেতন হইয়া উঠে। সেই জন্য সকল দেশের রাজনীতিবিদগণ, রক্ষী সৈন্তের সমর্থন করিয়া থাকেন । সুতরাং মুসলমানগণ যখন বিভিন্ন প্রদেশে রাজ্য বিস্তার করিয়াছিলেন, তখন দেশ রক্ষার জন্য সৈন্য পোষণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। কিন্তু অর্থ ও প্ৰজাগণের সমবেত সাহায্য ব্যতিরেকে এই বিরাট বাহিনী কোথা হইতে সংগ্ৰহ করিবেন ? যদি মুসলমান শাসকবৰ্গ আইন পাস করিয়া প্ৰত্যেক জাতিকে সৈন্য শ্রেণীভুক্ত হইতে বাধ্য করিতেন, তাহা হইলে প্ৰজাগণ কি তাহাতে সন্তুষ্ট হইতে পারিত ? বিজিত জাতি৷ ইহাকে অত্যাচার মূলক কঠোর আইন বলিয়া মনে করিত। এ যুগের কুটিলমতি করে, রাজনীতিকগণ মুসলমানের এই উদার ব্যবহারের মধ্যে কূটনীতির গন্ধ পাইয়া নাসিক কুঞ্চিত করিতে পারেন । কিন্তু মুসলমান সরলচিত্তে উদার নীতি অবলম্বন করিয়া প্রত্যেক বিজিত জাতিকে সৈন্য শ্রেণীভুক্ত হইতে বাধ্য করেন নাই! পক্ষান্তরে তাঙ্গাদের সৈন্য শ্রেণীভুক্ত হইতে কোন বাধাও ছিল না। এই কাৰ্য্যে প্ৰত্যেক অমুসলমান সাদরে গৃহীত হইত ! একথাও এখানে বিশেষ ভাবে স্মরণ রাখিতে হইবে । অতএব বিজিত দেশবাসীকে সকল প্ৰকারী আপদ বিপদের শঙ্কা হইতে রক্ষা করিবার ভার পড়িল মুসলমানদের উপর। মুসলমান বাদশাহ ও খলিফাগণ, প্রত্যেক भूनाমানের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক”শিক্ষা প্ৰবৰ্হিত করিলেন, ফলে প্ৰত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত মুসলমান যুবক, সৈন্য শ্রেণীভুক্ত বলিয়া গণ্য হইল। এই সাৰ্ব্বজনীন সামরিক বিধান হইতে কোন মুসলমানের অব্যাহতি পাইবার উপায় ছিল না। এক্ষণে আমরা ন্যায় ও সত্যের খাতিরে বলিতে পারি যে, যেখানে রাজ্য রক্ষার জন্য এক শ্রেণীর প্রজা যুদ্ধক্ষেত্রে বুকের রক্ত ঢালিয়া দিত, সেক্ষেত্রে অসামরিক প্ৰজার নিকট এই রক্তের বিনিময়ে করম্বরূপ किक्षि९ अर्थ अाक्षांग्र कब्र। अicनो अनौौन श्न नाई। এরূপ সাহায্য না করিলে বরং ভিন্নধৰ্ম্মাবলম্বীদের পক্ষে অন্যায় হইত, ন্যায় ও সত্যের মৰ্য্যাদা লঙ্ঘিত হইত। এই প্রকারে, যুদ্ধকাৰ্য্য হইতে অব্যাহতি প্ৰাপ্ত আশ্রিত (জিমী ) প্ৰজার নিকট যে কর আদায় করা হইত ইতিহাসে তাহাই জিজিয়া নামে অভিহিত। এইরূপে রাষ্ট্রের জন্য যে সকল প্ৰজা যুদ্ধক্ষেত্রে দেহের রক্তপাত করিয়া সাহায্য করিতে বাধ্য श्रेष्ठ नl, 6कबगभांब ऊांशंगाबारे निक) श्रेष्ठ हे का আদায় করা হইত।