পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩৩৫ সাল ] করা শুভ হইল না। ;-মজিদার বিদ্রোহ এবং শওকতের সন্দেহ বাড়িয়া উঠিতে লাগিল। শওকত আফিস হইতে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করে-“আজি ক’কুড়ি কবিতা হলো ।” মজিদ। মুখ ভার করিয়া চলিয়া যায়। শওকত মুচকিয়া DBBB DS LBLO DS DBLBD D KDYS “নুতন কবি ভাবে কবে খাত ভৰ্ত্তি হবে ।” মজিদ আহত হইয়া চলিয়া যায় অথবা ফিরিয়া দাড়াইয়া বলে-দেখো রোজ রোজ সেই এক ঘ্যানঘ্যাননি সইতে পারিনা ।” শওকত বলে--তোমাকে কি আমি বলচি ? মজিদ বিদ্ধ হইয়া বলে-আমাকে না শুনায়ে বল্লে ত’ প্ৰাণ ঠাণ্ডা হয় না ! আমি কবি একথা কে তোমাকে বল্লে । শওকত হঠাৎ শিহরিয়া . পিছনে হটিয়া বলে--তবে কি 'यभांडन् ?' এত দুঃখেও মজিদ হাসিয়া ফেলে। কিন্তু এই বিদ্রপ-গৰ্ভ হাসিঠাট্টাও বেশী দিন চলিল না ; একদিন শওকত আদেশ করিয়া বসিল-“এই কবিগিরী ছেড়ে দিতে হবে ।” এই আদেশের একটা বিচিত্র কারণ আছে। একদিন শওকত রাইটাস বিলিৰ্ডংএ জনৈক উৰ্দ্ধতন কেরানী বন্ধুর সঙ্গে দেখা করিতে গেল। এক ভদ্রলোককে সম্মুখে পাইয়া জিজ্ঞাসা করিল-“মশাই, কালিবাবু কোথায় বলতে পারেন ?” ভদ্রলোকটি বলিল—কোন কালীবাবুর কথা বলচোন ? কমলা দেবীর স্বামী কালীবাবু? শওকত হতভম্ব হইয়া দাড়াইয়া রহিল ; এমন সময় কালীবাবু আসিয়া উপস্থিত হইলে ভদ্রলোকটি বলিল“এই কালীবাবুকে খুজি চেন ত ? উনিই নভেলিষ্ট কমলা দেবীর স্বামী।” বন্ধুর নিকট এই পরিচয়ে কালীবাবুর মুখ উজ্জল হইয়া डेछैिन ना । সেই দিন বাসায় ফিরিয়া মজিদার কবিতার খাতা যাহা পাওয়া গেল তাহা শওকত জানালা গলাইয়া নীচে ফেলিতে লাগিল। মজিদ দাড়াইয়া দেখিতে লাগিলা-প্ৰতিবাদের S-8 W কবির সমাধি CC LLSSLS SLLLLLSLLLeLSLL LESaSLS SSLLSS LSqLSL LeSLLLLS LSLSLL LEeLLLLLL LSLLLLL LLLLLL LAeSL SSSkSSSS LLL LMeMLS LLLLLSLLLLL LSLSLL LLLLLLLBeL LSLqLL LL SLLLLLS একটি শব্দও উচ্চারণ করিল না। আজ সে একটা চিঠি श्रांशेब्रांछिल-cन ठेि श्रां७ब्रा छ्त्रक्षेि भान उांशंद्र उांौ খারাপ হইয়া আছে। চিঠিটা একটা কবিতার খাতার ভিতরে ছিল। শওকত সেই খাতাটা খুলিয়া ওটা কবিতার খাতা কিনা পরীক্ষা করিতেই খামের চিঠিটার উপরে মুক্তার মত অক্ষরগুলি দেখিয়া খুলিয়া দেখে ইহার প্রেরক-ফজলুল কাদির। ভ্র? তাহার কুঞ্চিত হইয়া উঠিল এবং এক নিশ্বাসে যেন চিঠিটা পড়িয়া ফেলিল । ফজলুল কাদির বাংলা-সাহিত্যে একজন নামজাদা কবি । শওকত যদিও এই সব সাহিত্যিকের ধার ধারিত না, তবু লোক পরম্পরায় ফজলুল কান্দিরের নাম শুনিয়াছিল। কিন্তু কবিটি যে মজিদার সঙ্গে চিঠি লেখালেখিও করিয়া থাকেন, এ-খোশ খবরটা ত তাহার জানা ছিল না। চিঠির কথাগুলি সরল কিন্তু সারল্যের ভিতরে সে বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারিল না । চিঠিতে ছিল :- প্রিয় ভগিনী, আপনার চিঠি পাইলাম। শিলংএ বেড়াতে গিয়েছিলুম বলে জবাব দিতে দেরী হলো। কিছু মনে করবেন না। আজকাল কাগজে আপনার লেখা দেখতে পাচ্ছিনা। বলে দুঃখিত ; আপনার মত একটা প্ৰতিভাকে হারাতে পারি না। আপনার স্বামী শিক্ষিত ; আশা করি সেদিক থেকে কোনো বাধা পাবেন না । বিয়ে হয়ে গেলে দুনিয়াদারীতে জড়িয়ে পড়েন বলে ছুতা ধরে অনেকে লেখা ছেড়ে দেন-সে ছুতা নিছক মিথ্যা, এর মূলে শুধু অলসতা । বোধ হয় আপনি সে-কাফেলার অন্তৰ্ভুক্ত হয়ে যাননি। আপনার সঙ্গে দেখা কবুলে আপনি যে খুন্সী তাতেন এবং আমিও খুশী হবে, সে সত্য, কিন্তু তাহলে যে-সূত্রটি ধরে আমি নারীজাতিকে জাগাতে চাই, তা ছিন্ন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই আমার বিপক্ষে অনেকে অস্ত্ৰধারণ করেচে। ; ওরা মনে করে, আমি অন্তরে দুরভিসন্ধি পোষণ করি। এ-যখন সত্যই অন্তরে আমি মিথ্যা বলে জানি, তখন তর্ক করে শক্তি নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু বিপক্ষের প্রতিবাদেরও অতীত হতে চেষ্টা করতে হবে আমাকে । আমাদের এমনি বিশ্বাসী হতে হবে যেন, আবুজাহেলের মত বিপক্ষেরাও বলে-“তোমাদের অবিশ্বাস করাচি না কিন্তু তোমাদের মতের উপর আমাদের আস্থা নাই।” সেই