পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩৩৫ সাল ] হাজািনত ও মনোিনব খেল আবদুল মালোক দ্বিতীয় বার জরিপ করিয়াও ৪০,০০,০০০ চল্লিশ লক্ষ দিনারের বেশী আদায় করিতে সমর্থ হন নাই । অথচ সেই মিসরের রাজস্বই হজরত ওমরের সময় এক কোটী বিশ লক্ষ এবং পরে হজরত ওসমানের খেলাফৎ কালে এক কোটী চল্লিশ লক্ষ দিনারে পরিণত হইয়াছিল। এইরূপ কথিত হয় যে মিসরের রাজস্বের এইরূপ ক্রম-বৃদ্ধিতে আনন্দিত হইয়া একদিন হজরত ওসমান আমার-বিন আসকে বলিয়াছিলেন- “উস্ত্রীটি এত অধিক দুগ্ধদান করিতেছে দেখিয়া আমি খুবই আনন্দিত।” প্ৰত্যুৎপন্নমতি-সম্পন্ন আমার তৎক্ষণাৎ রহস্যচ্ছলে উত্তর দিয়াছিলেন“কিন্তু শিশুটি এখনও আভুক্ত রহিয়াছে।” Sfas কথিত আছে সিরিয়ায় রোমান আধিপত্যের সময় কোন ন্যায়-পরায়ণ রাজা নিয়ম করিয়াছিলেন ভূমির উর্বরতা শক্তি ও উৎপন্ন দ্রব্যের পরিমাণ হইতেই রাজস্ব নিৰ্দ্ধারিত হইবে। হজরত ওমর এই নিয়মের কোন ব্যতিক্রম করেন নাই। র্তাহার সময়ে সিরিয়ার রাজস্বের পরিমাণ মোট ১,৪০,০ ০০ ০০ এক কোটী চল্লিশ লক্ষ দিনার ছিল। ইরাণের ন্যায় সিরিয়াতেও এই হারে রাজস্ব আদায় করা হইত। সুতরাং এখানে তাহার পুনরুল্লেখ নিম্প্রয়োজন। হজরত ওমরের খেলাফৎ কালে বিভিন্ন দেশের রাজস্বের এইরূপ ব্যবস্থা হওয়ায় এবং উহা পূর্বাপেক্ষা বহুলাংশে বদ্ধিত হওয়ায় কেহ যেন মনে করিবেন না যে তিনি অধিবাসিগণকে অভুক্ত রাখিয়া অপবা তাহদের সুখ-সুবিধার প্রতি কোনরূপ মনোযোগ না দিয়া আমাদের দেশের সুসভ্য ইংরেজ রাজপুরুষগণের ন্যায় কেবল রাজস্ব বৃদ্ধির দিকেই অধিক মনোনিবেশ করিতেন এবং যে-কোন উপায়ে বিজিত দেশ সমূহের অর্থ শোষণ করিয়া রাজভাণ্ডার পূর্ণ করিতেন। তিনি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য দেশের কৃষি-বানিজ্যের কিরূপ শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন করিয়াছিলেন, আমরা নিম্নে তাহারই আলোচনা করিতেছি। sਲ হজরত ওমরের যে সকল সংস্কারের দ্বারা বিজিত দেশ সমূহের সুখ সমৃদ্ধি ও ঐশ্বৰ্য্য পরিবদ্ধিত হইয়াছিল জমিদারী ও জায়গীর প্রথার উচ্ছেদ সাধন তন্মধ্যে অন্যতম। ফিৎকালে ভূমিরূন রাজস্ব ASAAAAAS L S ATAA LSLAT LAL ALAeSeSeSMMAT TSLALLAL L LAAS AA S AeA eeS E LE eLeSESS COO রাজানুগৃহিত জমিদার ও জায়গীরদারগণ প্ৰজাসাধারণের উপর কিরূপ নিৰ্ম্মম অত্যাচার ও উৎপীড়ন করিত তাহা ইতিহাস পাঠকমাত্রেই অবগত আছেন। এইসব অমানুষিক অত্যাচার ও উৎপীড়ন দমন করিবার উদ্দেশ্যেই ন্যায়-পরায়ণ খলিফা ওমর জমিদারী প্ৰথা রহিত করেন, কাৰ্য্যের পুরস্কার স্বরূপ সৈনিক ও রাজপুরুষগণকে জায়গীর প্রদানের ব্যবস্থা ও বিজিতগণের মধ্য হইতে দাস গ্ৰহণ-বিধির উচ্ছেদ সাধন করেন। তিনি বিজিত দেশের সমুদয় ভূমি অধিবাসিগণের হাতেই ছাড়িয়া দিতেন এবং মোসলমানের পক্ষে বিজিত দেশে ভূসম্পত্তি ক্রয় ও গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ অবৈধ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছিলেন । এমন কি তিনি আরবগণকে ভিন্ন দেশে ক্লষিকাৰ্য্যের দ্বারা জীবিক সংস্থানেরও অনুমতি প্ৰদান করিতেন না। কথিত আছে-মিসরের গভর্ণর আমন্ত্ৰ-বিনআসি কায়রো নগরীতে একটী বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন বলিয়া খলিফা র্তাহাকে বিশেষভাবে লাঞ্ছিত করিয়াছিলেন। একজন আরব সৈনিকের বহুদিনের বেতন বাকী পড়ায় সে গভর্ণরের অনুমতিক্রমে সামান্য কিছু সরকারী জমী পত্তন লাইয় তাহাতে কৃষিকাৰ্য্য করিতেছিল। এই সংবাদ হজরত ওমরের নিকট পৌছিলে তিনি অতিমাত্ৰ কুপিত হইয়া তাহাকে রাজবিধি লভিযানের অপরাধে শান্তি গ্রহণের জন্য মদিনায় ডাকিয়া পঠাইয়াছিলেন । খলিফা ওমরের প্রবর্তিত রাজস্ব সংস্কারই অনেক ক্ষেত্রে মোসলমানদের বিজয় পরম্পরার কারণ হইয়াছিল। কারণ রোমানদের অত্যাচার-উৎপীড়নে ও তাহদের অত্যধিক শোষণের ফলে সকল দেশের অধিবাসীবৃন্দই তাহদের উপর বিদ্বিষ্ট হইয়া উঠিয়াছিল। সুতরাং মোসলমানগণ রাজ্যজয়-ব্যাপদেশে কোন দেশে উপস্থিত হইলে জনসাধারণের পক্ষ হইতে তঁহি দিগকে কোনরূপই বাধা অতিক্ৰম করিতে হইত না ; কেবলমাত্ৰ বিপক্ষীয় সৈন্যবাহিনীর ও রাজশক্তির বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করিতে হইত। এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে তঁহাৱা অধিবাসীবর্গের নিকট হইতে সাহায্য প্ৰাপ্ত হইতেন। ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায় মিসরের অধিবাসী কপাত কৃষকগণ রোমান শাসনে এমনই উৎপীড়িত হইয়া উঠিয়াছিল যে মোসলমানগণ উপস্থিত হইলে তাহারা উহাদিগকে মুক্তির দূত বলিয়া অভিনন্দিত করিয়াছিল। আরও দেখিতে পাওয়া যায়-দামাস্কাস ও হিমাসের খৃষ্টান অধিবাসিগণ