পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

ভয়-চকিত মোটা গলা পেছন থেকে গেয়ে উঠলো,

সঁপিলে প্রাণ···

 গানের দু’টো চরণ বেরিয়ে এলো দু’টো দীর্ঘ নিশ্বাসের মতো। জনতা আবার পা বাড়ালো সামনের দিকে তাদের পদধ্বনি স্পষ্ট শোনা গেলো। গান আবার নতুন, জোরের সঙ্গে নতুনভাবে বেজে উঠলো!

··ভীষণ রণে সাঁপিলে প্রাণ
পর তরে দিল আত্মদান···

 কে যেন ঠাট্টার সুরে ব’লে উঠলো, আহা হা, ব্যাটারা গান ধরেছে দেখোনা, যেন শ্রাদ্ধ-সংগীত!

 আর একটি ক্রুদ্ধ কণ্ঠ এলো, ম্যার ব্যাটাদের!

 মা বুকে হাত চেপে ধরলেন, চেয়ে দেখলেন, সেই বিরাট জনতা চঞ্চল, সচকিত হ’য়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। এগিয়ে চলেছে নিশান হাতে জন বারো লোক—তারাও আবার এক এক ক’রে ছিটকে যাচ্ছে দল থেকে ···পায়ের তলার মাটি যেন হঠাৎ তেতে আগুন হয়েছে, এমনি ভাবে।

ফেদিয়া গেয়ে উঠলো, ···শেষ হবে এ অত্যাচার···

 সমবেত সুর ধ্বনিত হল —মানুষ জাগিবে পুনর্বার···

 হঠাৎ সুর ভঙ্গ হ’য়ে তীক্ষ্ণ আওয়াজ এলো, সঙিন চালাও।

 মুহূর্ত মধ্যে সঙিনগুলো একসঙ্গে ঊর্ধ্বে উত্থিত হ’য়ে সূর্যালোকে ঝলমল ক’রে উঠলো।

 মার্চ।

 ঐ রে, আসছে, ব’লে একজন খোঁড়া একলাফে রাস্তার একপাশে গিয়ে সরে দাঁড়ালো।

 মা নিষ্পলকে চেয়ে রইলেন। সৈন্যদল গোটা রাস্তাটায় ছড়িয়ে প’ড়ে

১১৯