হ’য়ে পেভেল-এণ্ডিকে দেখতে লাগলেন। এণ্ডি কে দেখা যাচ্ছিল। মা চেঁচিয়ে উঠলেন, এণ্ডি, পেভেল!
সৈন্যদলের মধ্য থেকে তারা ধ্বনি করে উঠলো, বন্ধুগণ, বিদায়, বিদায়!
প্রতিধ্বনি হ’লো অজস্র কণ্ঠে—বাড়ির ছাদ থেকে, ঘরের জান্লা থেকে, ছত্রভঙ্গ জন-সমুদ্র থেকে।
লেফটেনেণ্ট মাকে ঠ্যালা দিয়ে চেঁচাতে লাগলো, ভাগো, ভাগো!
মা চেয়ে দেখলেন, নিশানটা ভেঙে দু’টুকরো হ’য়ে গেছে, একটা টুকরোতে লাল কাপড়টা জড়ানো। নুয়ে সেটা তুলে নিতেই কর্মচারী মার হাত থেকে তা’ ছিনিয়ে নিলো এবং একদিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সদর্পে গর্জন ক’রে উঠলো, যাও বলছি এখান থেকে।
সৈন্যদের মধ্য থেকে গানের সুর ভেসে এলো,
‘ওঠো, জাগো, মজুরদল।’
চারদিকে সব-কিছু ঘুরছে, দুলছে, কাঁপছে। টেলিগ্রাফের তারের ঝংকারের মতো একটা গাঢ়, ভীতিপ্রদ ধ্বনি উত্থিত হ’চ্ছে। সামরিক কর্মচারিটি সক্রোধে হুংকার ক’রে উঠলো, ব্যাটাদের গান বন্ধ কর, সার্জেণ্ট ক্রেনড্। মা টলতে টলতে গিয়ে সেই ছুঁড়ে-ফেলা নিশানটুকরো আবার তুলে নিলে,।
মুখ বন্ধ কর ব্যাটাদের।
গানের সুর প্রথমটা এলোমেলো হ’ল, তারপর কাঁপতে কাঁপতে বন্ধ হ’ল।
একজন সৈন্য মাকে পেছন থেকে টেনে মার মুখ ঘুরিয়ে ঠেলে দিলো, বাড়ি যা, বুড়ি।
১২২