পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

তৎক্ষণাৎ লাফ দিয়ে মাটিতে নাবলো, তারপর চাষীর হাতে ঘোড়ার লাগামটা দিয়েই টাউন-হলের মধ্যে ঢুকে পড়লো।

 আর কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া গেলো না।

 সরাইর একটি মেয়ে পরিচারিকা কাপ-প্লেট এনে টেবিলের ওপর রেখে সোৎসাহে বলে উঠলো, একটা চোর ধরেছে এইমাত্র। নিয়ে আসছে এখানে।

 মা বললেন, সত্যি? কি রকম চোর বলতো?

 জানিনে।

 কি চুরি করেছিলো?

 কে জানে? শুনলুম তাকে ধরেছে। চৌকিদার ছুটে পুলিস কমিশনারের কাছে গেলো।

 মা জানালা দিয়ে চেয়ে দেখলেন, টাউন হলের সিঁড়ির ওপর চাষীরা জড়ো হচ্ছে দলে দলে···সবাই চুপ-চাপ। মা বইয়ের ব্যাগটা বেঞ্চির তলায় লুকিয়ে রেখে শালটা মাথায় জড়িয়ে সরাই থেকে বেরিয়ে সেখানে গিয়ে হাজির হলেন। সিঁড়ির ওপর উঠে দাঁড়াতেই তাঁর শরীরের রক্ত যেন হিম হয়ে এলো···শ্বাস রুদ্ধ···পা অসাড়। বাগানের মাঝখানে রাইবিন, পিঠ-মোড়া করে হাত বাঁধা...দু’পাশে দু’জন পুলিস!

 মা স্থান-কাল-পাত্রেব কথা বিস্মৃত হ’য়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন রাইবিনের দিকে। রাইবিন কি যেন বললো, কিন্তু তা মার কানে গেলো না! মার কাছেই দাঁড়িয়েছিল একজন চাষী···নীল তার চোখ···মা তাকে জিগ্যেস করলেন, কি হয়েছে?

 ঐ তো দেখছো।

 একটি রমণী চীৎকার করে উঠলো, উঃ, কী ভীষণ দেখতে চোরটা!

১৬৪