পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

না তামিল করো, তোমার মরণ। কর্তাদের নিষেধ—মানুষ হোয়োনা, এ বাদে শেয়াল-কুকুর যা খুশি হতে পারো। বীর হ’লে তোমার রক্ষা নেই···ভবসাগর পার করে দেবার জন্য তারা উঠে পড়ে লাগবে, বুঝলে তেতিয়ানা! চাই আজ অত্যাচারিত জন-সাধারণের ক্রোধ এবং বিদ্রোহ!···

 পরদিন মা শহরে চলে এলেন। এসে দেখেন বাসা সার্চ হয়ে গেছে ···সব জিনিস তছনছ। আইভানোভিচ বললো, শাসিয়ে গেছে, মা, আমার কাজ খতম হবে। বাঁচা গেলো, মা! চাষীদের কার কি নেই এ হিসেব ক’রে মাইনে গোনা দস্তুরমতো হারামি।

 তারপর মা রাইবিনের শোচনীয় গ্রেপ্তার-কাহিনীর বর্ণনা করলেন। আইভানোভিচ প্রথমটা উত্তেজনায় লাল হয়ে উঠলো, তারপর দীপ্ত চোখে কিন্তু সংযতকণ্ঠে বললো, চমৎকার লোক! এমন মহৎ। কিন্তু জেলে থাকা ওর পক্ষে কষ্টকর, ও রকম লোক জেলে গিয়ে সুস্থ থাকে না।···

 তারপর তীক্ষ্ণকণ্ঠে বললো, আর ঐ পুলিস এবং সার্জেণ্ট,—ওরা তো শয়তানের হাতের অস্ত্র···পশুকে যেমন পোষ মানায়, ওদেরও তেমনি ক’রে পোষ মানানো হয়েছে। হাঁ, পশু ওরা··· আর পশু যখন কামড়ায়, তখন তাকে করতে হয়,···

 উত্তেজনায় আইভানোভিচ পাইচারি করতে করতে রাগ-ভরা কণ্ঠে বলতে লাগলো, কী ভয়ানক! মানুষের ওপর অন্যায় কর্তৃত্বমদে মত্ত হ’য়ে মুষ্টিমেয় পশু মানুষকে মারছে, অত্যাচার করছে, গলা টিপে খুন করছে। বর্বরতার সুর উঁচু হতে উঁচুতে উঠছে, নিষ্ঠুরতা হ’য়ে দাঁড়িয়েছে জীবনের নীতি। একটা গোটা জাতি আজ অধঃপতিত। একদল করছে

১৭৯