পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

শ্রদ্ধা করি। কাটখোট্টা সাদা-সিধে বাইরের অভ্যন্তরে একখানি কোমল অন্তঃকরণ···

 তারপর হঠাৎ সে প্রসঙ্গ চাপা দিয়ে বলে উঠলো, মনে হচ্ছে কেউ পিছু নিয়েছে। যাই, মা···গোয়েন্দা পিছু নিয়েছে বুঝলে লিউদ্‌মিলার ঘরে ঢুকো না।...

 শশা চ’লে গেলো!

 মা লিউদ্‌মিলার কাছে এসে কাগজটা তার হাতে দিলেন। তারপর আইভানোভিচের কাহিনী বললেন খুলে···কেমন ক’রে সে গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

 লিউদ্‌মিলার চোখে-মুখে এসে পড়েছে অগ্নির রক্তিমাভা। স্থির কণ্ঠে সে বললো, কিন্তু আমার কাছে যখন তারা আসবে, আমি গুলি করবো। ধরা দোবনা। অত্যাচার হতে আত্মরক্ষা করার অধিকার আমার আছে। অন্যকে যখন যুদ্ধে উত্তেজিত করছি, তখন আমিও যুদ্ধ করবো। শান্তির অর্থ আমি বুঝিনে···শান্তি আমি চাইনে।

 মা ধীরে ধীরে বলেন, তোমার কাছে জীবন তাহলে সুখপ্রদ হবেনা, মা।

 লিউদ্‌মিলা সে কথার জবাব না দিয়ে পেভেলের বক্তৃতাটা পড়ে গেলো, বললো, বেশ! আমি এই-ই চাই, কিন্তু এতেও দেখছি শান্তির কথা আছে। যেন গোরস্থানে ডঙ্কা-নিনাদ—যদিও ডঙ্কাবাদক শক্তিমান।

 তারপর পেভেলের কথা তুলে বললো, চমৎকার লোক, মহাপ্রাণ কিন্তু এমন ছেলে পাওয়া যেমনই গৌরবের তেমনি ভয়ের।

 মা বলেন, গৌরবেরই, মা। ভয় আর কিছু নেই।


১৯৪