দেহকে ঋজু করে ডান হাত তু’লে আগন্তুক অভিবাদন করলো, নমস্কার।
মা নীরবে, প্রত্যভিবাদন জানিয়ে বললেন, পেভেল ফেরেনি এখনো!
নবাগত নিরুত্তরে নিরুদ্বিগ্নভাবে লোমের কোটটা ছেড়ে রেখে গা থেকে পুঞ্জিত তুষার ঝেড়ে ফেলতে লাগলো। তারপর চারদিক একবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখে নিয়ে টেবিলের ওপর আরাম ক’রে বসে মার সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিলো, এটা কি ভাড়াটে-বাড়ি, না আপনাদের নিজেদের?
ভাড়াটে।
বাড়িটা তো বিশেষ ভালো না।
পাশা এক্ষুণি আসবে, বসো।
বসেছি তো। আচ্ছা, মা, তোমার কপালে ও দাগটা কে করে দিলে?
প্রশ্নকর্তার ঈষৎ হাস্য এবং প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে আহত হয়ে মা একটু কঠিন সুরে বললেন, তা দিয়ে তোমার দরকার কি?
রাগ করো না, মা। আমার মার কপালেও অমন একটা দাগ ছিল;···তার মুচি স্বামী লোহার ফর্মা দিয়ে আঘাত করেছিল কি না···ইনি ছিলেন ধোপানি, উনি ছিলেন মুচি···মাকে যে কী মার মারতেন···ভয়ে আমার গায়ের চামড়া যেন ফেটে যেতে চাইতো।
মা’র রাগ জল হয়ে গেলে এ কথায়। এরপর দু’জনের আলাপ জমে উঠলো। মা ভাবলেন, এর মতো যদি আর সবাই হয়!
আগন্তুকের নাম এণ্ড্রি।
এণ্ড্রির পর এলো একটি মেয়ে—ন্যাটাশা। মাঝারি চেহারা, মাথাভরা ঘন কালো চুল, সাধারণ পোশাক, হাসিমুখ, মধুর স্পষ্ট কণ্ঠ, স্বাস্থ্য-নিটোল দেহ, নিবিড় নীল দুটি চোখ···মার প্রাণ খুশিতে, স্নেহে ভরে
২৫