যেই হক্ না, যা-ই তার নাম হ’ক্, সােসিয়ালিস্ট মাত্রেই আমাদের ভাই—আজ, চিরদিন, যুগ-যুগান্ত ধ’রে।
মা তাদের শক্তি-দীপ্ত আননের দিকে চেয়ে অনুভব করেন, সত্যি সত্যিই বিশ্বাকাশে তার চোখের আড়ালে এক নব দীপ্তোজ্জ্বল জ্যোতির আবির্ভাব হয়েছে···আকাশের সূর্যের মতােই যা মহান।
এমনি করে তাদের চাঞ্চল্য বেড়ে চলে। পেভেল মাঝে মাঝে বলে, একটা কাগজ বের করা দরকার।
নিকোলাই বলে, আমাদের নিয়ে কানা-ঘুষাে চলছে পাড়ায়। এখনই সরে পড়া ভাল।
এণ্ড্রি জবাব দেয়, কেন এতাে ধরা পড়ার ভয়!
মা এণ্ড্রিকে ভালবেসে ফেলেছেন নিজের ছেলের মতাে। কাজেই তিনিই একদিন প্রস্তাব করলেন পেভেলের কাছে, এণ্ড্রি এখানেই থাকুক না। তা’হলে আর তােদের ওর বাড়ি ছুটাছুটি ক’রে হয়রান হ’তে হয় না।
পেভেল বললে, ঝঞ্ঝাট বাড়িয়ে লাভ কি, মা।
ঝঞ্ঝাট···তাতো চিরটা জনমই পুইয়ে এসেছি···অমন ভালাে ছেলের জন্য পােহানো তাে বরঞ্চ সার্থক!
পেভেল বললাে, তাই হ’ক মা, এণ্ড্রি এলে আমি সুখীই হ’ব।
কাজেই এণ্ড্রি এসে মার আর একটি ছেলে হ’য়ে বসলাে।
৩৫