পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 শিজভকে প্রশ্ন করতে সেও ঐ জবাব দিলো।

 ম্যানেজার ধীরে ধীরে জনতার দিকে চেয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে পেভেলকে বিদ্ধ করে বললেন, তোমাকে দেখে বেশ চোখা লোক মালুম হচ্ছে। তুমি কি প্লানটার উপকারিতা বুঝতে পাচ্ছ না?

 পেভেল জোর গলায় বললো, আমরা বুঝতুম, কারখানার নিজের খরচে যদি জলা সাফ করা হ’ত।

 ম্যানেজার রুক্ষ জবাবে বললে, কারখানাটা দাতব্যাগার নয়। আমার হুকুম, এক্ষুণি—এই মুহূর্তে কাজে যাও। এই ব’লে কারও দিকে দৃকপাত না ক’রে ম্যানেজার নীচে নাবতে গেলেন।—জনতার মধ্য থেকে একটা অসন্তুষ্টির চাপা গুঞ্জন শুনে হঠাৎ তিনি দাঁড়িয়ে পড়ে বললেন, কী!

 সব চুপ চাপ। দুর থেকে একটি কণ্ঠ ভেসে এলো, তুমি নিজে কাজ করগে।

 ম্যানেজার স্পষ্ট ভাষায় বেশ একটু কড়া সুরে বললো, পনেরো মিনিটের মধ্যে যদি কাজ শুরু না কর তাহ’লে তোমাদের প্রত্যেককে বরখাস্ত করা হবে। এই বলে তিনি ভিড় ঠেলে বেরিয়ে গেলেন। তার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সোরগোল উঠলো।

 ওঁকে বলোনা।

 ন্যায়বিচার চাইতে গিয়ে এই পেলুম...এতো দেখছি ফ্যাসাদ আরও বাড়লো।

 পেভেলের দিকে চেয়ে একজন চেঁচিয়ে বললো, কি হে মাতব্বর উকিল, এখন কি হবে? খুব তো বক্তৃতার পর বক্তৃতা দিচ্ছিলে, কিন্তু যেই ম্যানেজার এলো, অমনি সব ফাঁক্কা।

৫৬