উঠলো। আইভান হৃদয়াবেগ কিছুতেই সামাল করতে পারলো না, ব’লে উঠলো, ওঃ, এমন মা আর হয় না!
ভ্যাসিলি মাটিতে আসন ক’রে বসে খাবারের পাত্রটার দিকে ঝুঁ’কে পড়লো, আর অম্নি এক বাণ্ডিল ইস্তাহার এসে তার বুকের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেলো। পরক্ষণেই তা’ তার জুতোর মধ্যে পায়ের তলায় চ’লে গেলো।
এমন চটপট কাজটা হ’য়ে গেলো যে অন্য কেউ তা’ একদম লক্ষ্য করতে পারলো না। ভ্যাসিলিও তাদের ভুলিয়ে রাখার জন্য বাজে কথা বলছে, বাড়িতে না গিয়ে আজো এসো এইখানে, এই বুড়িমার কাছ থেকে খাবার খাই।
ম! ক্রমাগত হাঁকেন, চাই টক্ কপির সুপ, গরম ঝোল, রোস্ট, মাংস, আর এক-এক ক’রে ইস্তাহারের বাণ্ডিলগুলো আইভান ভ্যাসিলির কাছে চালান দেন। মজুরদল কাছে এসে পড়াতে মা ইস্তাহার দেওয়া থামিয়ে দিয়ে খাবারের হাঁক হাঁকতে লাগলেন। মজুররা এলো, খাবার খেলো, চলে গেলো। তারপর মা আবার তাঁর কাজ শুরু করলেন এবং শেষ করলেন।
সাফল্যের আবেগে আনন্দে তাঁর সমস্ত দিনটা এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্যে কাটলো।
রাত্রে এণ্ড্রি এসে হাজির হ’ল। সে কারামুক্ত হ’য়ে এসেছে অথচ পেভেল কোথায়?—মা এণ্ড্রির বুকে মুখ লুকিয়ে ছোটো মেয়েটির মতো কাঁদতে লাগলেন। এণ্ড্রি তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো, কেঁদোনা, মা, পেভেলের জন্য কোন ভাবনা নেই, সে তোফা আছে। শীগ্গিরই জেল থেকে সে ফিরে আসবে।
৬৮