পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 এণ্ডি বললো, মানুষ ওরা কেউই নয়, মা। মানুষকে আঘাত দেবার,. অভিভুত করার, তাকে রাষ্ট্রের চাহিদা মতো গড়ে নেবার যন্ত্র ওরা। কর্তারা যেমন খুশি ওদের চালান। ওরা না ভেবে, কেন, কি দরকার এ প্রশ্ন না ক’রে কর্তাদের হুকুম তামিল করে যায়।

 অবশেষে মা একদিন ছেলের দেখা পেলেন। অনেক কথা হলো। মা শেষটা বললেন, কবে ছেড়ে দেবে তোকে? কেন জেল হ’ল তোর? ইস্তাহার তো আবার বেরিয়েছে কারখানায়।

 পেভেলের চোখ আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো, বেরিয়েছে? কবে? কতো?

 রক্ষী বাধা দিয়ে বললো, ওসব কথা বলা নিষেধ, পারিবারিক কথা বলো। অগত্যা পেভেল বললো, তুমি এখন কি করছ, মা? মা ইঙ্গিতপূর্ণ কণ্ঠে বলেন, আমিই কারখানায় এইসব বয়ে নিয়ে যাই —টক, ঝোল, খাবার...

 পেভেল বুঝলো।— চাপা হাসির বেগে তার মুখের শিরাগুলো কাঁপতে লাগলো। বল্‌লো, তা হ'লে একটা ভালো কাজ পেয়েছ তুমি, মা। সময় তোমার মন্দ কাটছেনা।

 মা বলেন, ইস্তাহার বেরুবার পর আমাকেও খুঁজে দেখেছিল।

 রক্ষী বল্‌লো, আবার ঐ কথা।

 এম্‌নি করে সময় উত্তীর্ণ হল। মা-ছেলে চোখের জলের মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্ন হলেন, বিদায় নিলেন।

 বাড়ি এসে মা এণ্ডিকে বলেন, আচ্ছা এণ্ডি, ওরা কেমন ক'রে পারে, বলতো? আমার তো পেভেলের জন্য মুখে অন্ন রোচে না। আর

৮১