মা ছেলের মাথাটা বুকে টেনে নিয়ে আর্তকণ্ঠে বলেন, যা’ দরকার তা করিস বাবা, শুধু বুড়ো মাকে কাঁদাসনি।
এণ্ড্রিকে ডেকে বললেন, ও তোর অবুঝ ছোট ভাই, ওকে বকিসনি বাবা।
এণ্ড্রি বললো, শুধু বকা! হতভাগাকে ধ’রে একদিন আচ্ছা মতো দিয়ে তবে ছাড়বো।
না বাবা, না বাবা, ব’লে মা এণ্ড্রির হাত ধরলেন।
এণ্ড্রি তখন বললো, তুমি পাগল হয়েছ, মা, আমি পেভেলের গায়ে হাত দোব! আমি ওকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি দেখতে পারি না হতভাগাকে। নতুন জামা পরেছেন উনি, তাই গরবে আর মাটিতে পা পড়ে না, যাকেই পায় তাকেই ঠেলা দিয়ে বলে, দেখ, কেমন জামা পরেছি। জামাটা ভালো, কিন্তু হ’ক ভালো, তাই ব’লেই কি লোককে এমনি করে ঠেলতে হবে? বলে, এমনিতেই মানুষ হ’য়ে আছে অতিষ্ঠ...
পেডেল হেসে বললো, কতক্ষণ মুখ চালাবে আর? কম তো বাক্যবাণ নিক্ষেপ করনি?
এণ্ড্রি মেঝেয় উনুনের সামনে পা ছড়িয়ে বসে ছিলো। পেভেল নুয়ে পড়ে তার হাত জড়িয়ে ধরলো।...তার কিছুক্ষণ পরেই দু’ভাইয়ের মতোই তারা আলিঙ্গনাবদ্ধ হ’ল। দেখে মার চোখ আনন্দাশ্রুতে ভ’রে উঠলো। তারপর যেন তিনি লজ্জিত হ’য়ে বললেন, এ মেয়ে মানুষের চোখের জল, দুখেও ঝরে, সুখেও ঝরে।
পেভেল বললো, এ চোখের জ্বলে লজ্জিত হবার কিছু নেই, মা।
৯২