কর্সুনোভা বললো, ভাগ্যিস্ তোমরা সবাই বাড়ি ছিলে? আমি দুপুর রাতে জান্লা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে গিয়েছিলুম!
পথে যেতে যেতে মা ভীত হ’য়ে বললেন, কি বলছ তুমি? আমরা খুন করেছি, একথা কারু স্বপ্নেও আসতে পারে?
পারে। তোমরা ছাড়া মারবে কে! তোমাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করতো সে, এ তো রাজ্যশুদ্ধ লোক জানে।
মার মনে আবার নিকোলাইর কথা জেগে উঠে।
কারখানার দেয়ালের অদুরে লোকের ভিড়—সেখানে আইছের মৃত দেহ। রক্তের চিহ্নমাত্র নেই। স্পষ্ট বোঝা যায়, কেউ গলা টিপে মেরেছে।
একজন ব’লে উঠলো, পাজী ব্যাটার উচিত শাস্তি হয়েছে!
কে-কে বললো একথা, ব’লে পুলিসরা ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলো শবের কাছে। লোকরা ছুটে পালালো। মাও বাড়ি চ’লে এলেন। এণ্ড্রি পেভেল বাড়ি এলে জিগ্যেস করলেন, কাউকে ধরেছে?
শুনিনি তো, মা।
নিকোলাইর কথা কিছু বলছে না?
না। এ ব্যাপারে তার কথা কেউ ভাবছেই না। সে কাল নদীতে গেছে, এখনো ফেরেনি।
মা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন।
খেতে ব’সে চামচে রেখে পেভেল হঠাৎ ব’লে উঠলো, এইটেই আমি বুঝি নে।
কি?—এণ্ড্রি বললো।
পেভেল বললো, উদরপুরণ করার জন্য যে হত্যা, তা অত্যন্ত বিশ্রী! হিংস্র জানোয়ারকে হত্যা—হাঁ, তা বুঝতে পারি,—মানুষ যখন হিংস্র
৯৫