পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, waag i y) সদরের কথায় সকলে ভরসা করে খুব জোরে নাম হাঁকিতে লাগিল। সংসারের কি আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা ! যে ব্যক্তি দুদিন আগে অন্ধকারে একলা ! কত অসীম সাহসিক কাজ করেছে, আজ কিনা ভূতের নামে তার কণ্ঠরোধ হয়ে আসছে। শব বাহকেরা যত বট গাছের তলার কাছে আসতে লাগলো ততই ভয়ে কাঠের পুতুলের মত হয়ে পড়ল ; একে পাখী গুলার বাসা ছাড়ার কলরব, তায় গাছের ডাল নড়ায় ভায়ের উপর ভয় বাড়িল, এমন কি তারা গায়ে গায়ে ঠেক ঠেকি হয়ে দুই একজন পড়ে গেল, কেউবা পিছু ফিরিল। এই সময়ে পেমী গাছের উপর থেকে মহা চীৎকার করে লাফিয়ে পড়ল, যে দুই তিন জন সাহসে ভর করে এগুচ্ছিল তারাও “ওইগো” বলে মূৰ্ছা গেল, কঁধের মড়াও মাটী সাত হয়ে গেল, কিন্তু চিন্তামণি ভয়ে জড় সড় না হয়ে হুঙ্কার করে ভূতটাকে ধরলে । সদার ও ভূতে খানিক্ষণ ঝাটাঝটি হল, সদারের তর্জন গৰ্জনে ভূতটা কাবু হল। সর্দার বললে,-মুই দেখছি তুই মেয়ে মানুষ, তাই বেঁচে গেলি। তুই কে, আর আমায় কি দিবি বল ? সর্দারের কথায় পেমী উত্তর করিল,-আমি পেমী । আমার বাবা ঘাটের কৰ্ত্ত। আমি একটা শোর দিব, আর মড়া পোড়াবার দান নিব না । চিন্তামণি,—এক কলসী হাড়য়া দিবি ৰ’ল ? মুই চিন্তামণি, তা नों श्व्न cडicक जीवांछ कद्धयां । পেমী,-"তাই হবে । sy চিন্তামণি পেমীকে এক কলসী জল আনতে হুকুম করিল। পেমী গাটা ঝেড়ে জল আনতে গেল। চিন্তামণি সাখীদের কাছে গিয়া দেখলে দু চারিজন কম আর সবে মড়ার সাথে মড়ায় মত পড়ে রয়েছে। এদিকে জলের কলসী নিয়ে পেমী পৌছিল। RO