পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন ইয়ারের ভেট । ১৬৭ কেল্লায় আশ্রয় লয়, আর যদি লড়াইটা খুব বেশী হয়, তা হলে দুজনের মধ্যে একজনের মহিমা প্ৰকাশ পায়, কারণ কোন কালেই এক সময়ে দুই কৰ্ত্তার আবির্ভাব হয় নাই। একের পতনে অন্যের উত্থান-এই নিয়মই চিরদিন চলিয়া আসিতেছে। ভুড়তুড়িচাঁদ ! আমরা বোকা, মুখ, তবুও মোটা মুটি বুঝিতে। বাক চাতুরি শিখি নাই, বুকনি মুখস্থ করিনি বটে, যাহাতে প্ৰকৃতি তত্ত্ব, অহংকার তত্ত্ব, একাদশটী বৈকারিক তত্ত্ব ইত্যাদি বুলিব। সাদাসিদে লোক সাদাসিদে বুঝি। মুটি মজুর পেটের জন্যই অস্থির, আর মায়ার জন্য মায়াতে কেঁদে মরি। ভুড়ভুড়িচাঁদ,-আচ্ছা, তুমি মোটামুটি কি বুঝ বলা দেখি ? বোকাচাঁদ, -প্ৰকৃতি পুরুষকে কিছুই ঠিক করিবার উপায় নাই, ইহারা যে কে এবং কোথা থেকে আসে এবং ইহাদের কৰ্ত্ত কে, এ কথা কেহই বলতে পারে না ; ইহার কারণ স্বয়ং বলিতে হয়, কিন্তু যতক্ষণ না। স্বয়ং কাগার উপর বিশ্বাস হবে ততক্ষণ বোঝান যাইবে না । একটা স্থান ঠিক নির্ণয় না করিলে দিক নির্ণয় হয় না, যেমন সূৰ্য্য না থাকিলে দিক নির্ণয় হইত না । মনে কর “ক” “খ” “গ,” তিন জন লোক উপবিষ্ট আছে : “ক”য়ের পূর্ব দিকে “খ” বসিয়াছে; “গ” “খ”য়ের পূর্ব দিকে বসিলে “খ” “গ” এর পশ্চিম দিকে হইল,—যেটা পূর্ব ছিল এখন সেটী পশ্চিম হইল। অতএব দেখ একটী স্থান ঠিক না। করিলে, কোন দিক নির্ণয় হয় না। ফলত প্ৰকৃত দিক নাই। ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ৩ এই কয়েকটীকে বিশ্বাস না করিলে অঙ্ক বিদ্যা হয় না । একের পিছনে কি আছে বলিলে ধাধা লাগে । ইহা বলিয়া (১) পরের পর অর্থাৎ ১/২/৩/৪ ইত্যাদি যাহা, তাহা অস্থিত্ব পঞ্চম নয়, কারণ নয়টা সংখ্যা ও একটী শূন্য হইতে জগতে অঙ্ক বিদ্যা চলিতেছে। যদি ( ১ ) একের পিছনে কিছুই নাই বলিয়া একের