পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন ইয়ায়ের ভেট । Syd মস্ত বানর বলেই জানে, খালি রং তামাসা করে বেড়ায়, আর ঘরের কোনে চুপ করে বসে থাকে, কিন্তু ভুড়তুড়িচাঁদ ! বোকাচাঁদের বিশ্বাস খুব বেণী, যদিও বোকাচাঁদ চালাক দাস, তবু বিশ্বাসের দরুন মাটী হয়ে গেল, যাকে একবার বিশ্বাস করবে। কিছুতেই আর অবিশ্বাস করবে না, ইহার দরুন খুব ঠিকেছে৷ কিন্তু তাতেও তার ভ্ৰক্ষেপ নাই, একের কৃপায় আবার ধাইয়ে ধাইয়ে উঠছে। এদেশে বিশ্বাসঘাতকতাটি প্রবল, এই জন্যই এদেশে কেহ প্ৰকৃত বড় হইতে পারে না, যাদের পেটে একখানা মুখে একখানা, তারাই এদেশে সব লোটে। অন্যদেশে অসভেরা মেরে ফেলে, কেঁড়ে কুঁড়ে নেয়, কিন্তু আমাদের দেশে খালি আইন বঁচিয়ে জীয়ন্তের সব লুটে পুটে নেয়। মেয়েরা যে বলে ভাল মানুষের বংশ থাকে না, এ হিয়ালিটি ঠিক । ভুড়তুড়িচাঁদ,-তুমি লোকের প্রকৃতি বুঝি না। একপয়সায় কেহ তিড়বিড়িয়ে বেড়ায়, আর কেহবা কোটী টাকার মালিক হয়ে চুপ করে বসে থাকে, কিন্তু বোকাচাঁদের যা মাথা ওমাথা কখনই চুপ করে থাকবার নয়; যদি তুমি বঁাচ আর বোকাচাঁদ বেঁচে থাকে দেখবে বোকাচাঁদ একবার ওলট পালট করবে করবে। কিন্তু বোকাচাঁদের একটা মস্ত দোষ আছে, যা দিযে লোক বড় হয়। সেই ভড়ংই লোকের কাছে ভেঙ্গে দেয়, অন্যে কেহ ভুড় ভাঙ্গে না । অপারে অন্যকে গাধা বানিয়ে নিজে বড় হয়, কিন্তু আমাদের বোকাচাঁদ সকলকে সেয়ানা করে দিচ্ছে ; এই বিপরীত পথের দরুন কতদুর কৃতকাৰ্য্য হবে সন্দেহ । যে দেশে যে রকম চলন সে দেশে সে রকম ব্যবস্থা না করলে বড় হওয়া যায় না । বোকাচাদ সবই জানে, কিন্তু প্ৰকৃতির দরুন কিছুই করিতে পারিতেছে না। তা নদেরচাদ । ওসব বাজে কথা এখন ছেড়ে দাও । বোকাচাঁদ । তারপর মোটা কি রকম বুঝেচ বল দেখি ? R