পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भश्र्षि कविब्न মুনির Vissa RAà কোন সন্দেহ উপস্থিত 'হুইত, সুবিধা , বুঝিয়া গুরুর নিকট যাইয়া মীমাংসা করিয়া লইত । কিছু দিন পরে পেমী চণ্ডালিনী দ্বিপ্রহরের সময় আশ্রমে আসিয়া উপস্থিত হইল। অতিথি বিবেচনায় তাহার সমাদর করা হইল, কিন্তু পেমীর বিকট মূৰ্ত্তির কারণ আশ্রমবাসীরা তাহাকে নানা ভাৱৰ লাইল । উহাদের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসা করিল,-তোমার নাম কি? কি বৰ্ণ, কি জন্য এখানে আসিয়াছ ? পেমী উত্তর করিল,--আমার নাম পেমী, আমার পিতা , ঘাটের কাৰ্য্য করে, আমার বর্ণ নাই, আমি চিন্তামণির অন্বেষণে এখানে আসিয়াছি, যদি তোমরা কেহ জানি, আমাকে বলিয়া দাও । যে যতদূর সাংখ্য শাস্ত্ৰে অপ্রবেশী ছিল, সে পেমী হইতে তত দূর তফাৎ হইয়া পড়িল, আর পেমীর উপর ঘূণা ততটুকু বাড়াইল । আশ্রমে নানা রকম লোক, যাহারা সাংখ্য শাস্ত্ৰে যতটুকু প্ৰবেশী ছিল, তাহারা ততটুকু পেমীর নিকটবৰ্ত্তী হইল, কিন্তু কেহই দশ হাতের কম থাকিল না। অন্যের সন্দেহ ভঞ্জন কাবণ একজন পেমীকে জিজ্ঞাসা করিল,—তোমার মূৰ্ত্তি ও বর্ণ পাগলের পরিচয় দিতেছে। তোমার চিন্তামণি কে ? যদি কোন বাধা না থাকে তাহা হইলে বল । পেমী,-বাবার বেশী বয়স হওয়ায় আমি ঘাটে কাজ করিতাম, কাতলা মারিয়া পয়সা লইতোম, শ্মশানেশ্বরের মাথায় জল ঢালিতাৰ, সময়ে মহা বটবৃক্ষের ডালে বসিয়া ভূত সাজিতাম। একদিন চিন্তামণি সর্দার একটা মড়া পোড়াইতে আসে, আমার নজর তাহার উপর পড়ে। মৃতদেহ দাহ হইলে পর, আমার মনের কথা চিন্তামণিকে কিছু বলিতে পারি নাই, তবে তাহার দিকে চাহিয়া ফ্যাল ফ্যাল করিয়া কঁাদিয়া ছিলাম, তাহাতে চিন্তামণি বলিয়াছিল,-তুমি বাটী যাও, আবার কেহ মরিলে দেখা হইৰে। সেই দিন হইতে আমার