পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR रिठों-ब्रश्नट)। চলিতে লাগিল, কুপের ব্যাঙের গতি আধহাত বৈ নয়। সাগরের ব্যাঙ দুই চারি লাফে কূপের ব্যাঙের দৃষ্টি হইতে অদৃশ্য হইল, কিন্তু বেশী আর লাফাইয়া চলিল না, কারণ সাগরের ব্যাঙ মিতের জলাশয়টি কোথা আছে জানিত না। বহুক্ষণের পর কূপের ব্যাঙ সম্মুখে আসিয়া রাগান্নিত হইয়া বলিতে লাগিল,- “ওহে সাগরের বাঙ! তোমার দেহটিও যেমনি, বুদ্ধিটিও কি তেমনি! তুমি কোথায় আমার পিছনে আসিবে, না একলাফে আমার মাথাটিকে ডিঙ্গিয়ে আমার নজর থেকে পলাইয়া গেলে । সভ্যতা শেখনি ? টোলে গিয়ে টিকি পাওনি আর কলেজে গিয়ে চশমা পাওনি ? আমার বাপ-দাদাদের কত কি ছিল, একলাফে চল্লিশ হাত যেত, আমিও পারি, তবে এখন অসুখ থেকে উঠেছি, তা না হলে এখুনি দেখিয়ে দিতুম, মিছে কি সত্যি, চল পুরাণ-পথি থেকে শ্লোক তুলে দেখিয়ে দিইগে।” সাগরের ব্যাঙ কিছু উত্তর না করিয়া কূপের ব্যাঙকে বলিল,— “তোমার জলাশয়টি আর কতদূরে আছে ?” কূপের ব্যাঙ উত্তর করিল,-“কোনহে, দুইলাফে হাঁপিয়ে পড়েছি নাকি ? বেশীদূরে নাই, ঐ লিলি কচ্ছে।” সাগরের ব্যাঙ কুপের ব্যাঙকে বলিল,-“ভাই! তোমার জলাশয়ের কাছে তুমি গেলে তোমার পিছনে যাইব, কারণ সাগরের ব্যাঙের কাছে কৃপের ব্যাঙের জলাশয় এক লাফের পথ ।” ইহা শুনিয়া কূপের ব্যাঙ আহিলাদিত হইয়া মদগর্বে চলিতে আরম্ভ করিল, বস্তৃক্ষণ পরে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইয়া সাগরের ব্যাঙকে পিছনে দেখিয়া তার আর আনন্দের সীমা রহিল না। তৎক্ষণাৎ সে কূপের ভিতর লাফ দিয়া পড়িয়া কূপের ভিতর হইতে সমুদ্রের ব্যাঙকে কত ডাকাডাকি করিতে লাগিল এবং কুপের ভিতর কত রকম লম্ব-কক্ষ