পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(PQPQ-ry 9.SS উপর কত লোক কত রকম দোষারোপ করিত, কিন্তু অদ্যাবধি কোন বিজ্ঞ লোক প্ৰেমিক শ্ৰী রামচন্দ্ৰকে বালী বধের দরুণ দোষারোপ করে না, কারণ তিনি বালীর স্ত্রী তারাকে ও বালীর পুত্ৰ অঙ্গদকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন। জগতে মানব কত গুণ সঞ্চয় করিতে পারে ইহ কেহই বলিতে পারে না, যদি পারিত তাহা হইলে শ্ৰীরামচন্দ্ৰ দুস্তর বালীবধ-কলঙ্ক-সমুদ্র হইতে অনায়াসে সমস্ত জনকে নিজে ভেলা হইয়া পার করিত্তে পারিতেন না । পুত্ৰ ! অন্যে দোষারোপ করিলে গ্ৰাহ নয়, কারণ শ্ৰী রামচন্দ্রের সমসাময়িক কোন লোক শ্ৰী রামচন্দ্ৰকে বালীবধের দরুণ দোষারোপ করে নাই। সমসাময়িক লোকসমূহ না করিতে পারে, কারণ উহারা বোধ হয় বালীবধে শান্তি লাভ করিয়াছিল, কিন্তু পুত্ৰ ! যখন বালীর স্ত্রী তারা ও বালীর পুত্ৰ অঙ্গদ দোষারোপ করে নাই, তখন শ্ৰীরামচন্দ্ৰকে বালীবধের দরুণ অন্য কেহই দোষারোপ করিতে পারে না । তারার প্রশ্ন ও শ্ৰী রামচন্দ্রের উত্তর এত উচ্চ, যাহা পাঠ করিলে জ্ঞানোদয় হইয়া স্বশরীরে স্বগে যায়, অতএব এই প্ৰবন্ধটিকে পাঠ করা সকলের উচিৎ হয় । শ্ৰী রামচন্দ্ৰকে সুগ্ৰীবের সহিত আলাপের সময় নিজ বলের পরীক্ষা দিতে হইয়াছিল এবং ইহাতে শ্ৰী রামচন্দ্র একটী ঢ়িলে দুইটী পাখীকে মারিয়া ছিলেন,-প্রথমটী নিজের বলকে দেখাইয়া সুগ্ৰীবের উপর প্রভুত্ব স্থাপন, আর দ্বিতীয়টা নিজে বালীর বলকে বিশিষ্টরূপে অবগত হওয়া । শ্ৰী রামচন্দ্রের বুদ্ধি অতি ভীষ্মক । তিনি পরীক্ষার দ্বারা ঠিক করিলেন, যদি বালীর সহিত আমার জ্বন্দযুদ্ধ হয়, হার ও জিত সংশয়, অতএব এইরূপ স্থানে ছল ধরা বিধেয়, বিশেষত বালী রাবণের বন্ধু ; যদি দুই বল এক হয়। তাহা হইলে আমার সীতা উদ্ধার অসম্ভব। এদিকে সুগ্ৰীবের নিকট