পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ভেদে সমাজিক ধন্মের বিভিন্নত । Ett বিশ্রাম করা উচিত। ইহার অভাবে চাকরেগণের ভিতর অনেকেই । রোগগ্ৰস্ত হয়। যাহারা নয়টার সময় আহার করিবে, তাহাদিগের দুইটার সময় আবার কিছু জলযোগ করা উচিৎ এবং আহারীয় দ্রব্যের - বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে দৃষ্টি রাখা কৰ্ত্তব্য। ইহার অভাবে নানারূপ রোগোয় উৎপত্তি হয়। বিদ্যালয়ের পাঠার্থিগণ, আফিসের কৰ্ম্মচারী ও অন্যান্য শ্রমজীবিগণের পক্ষে বাড়ীতে ফিরিয়া আসিয়া একেবারে পোষাক ছাড়া কৰ্ত্তব্য নয়। গাত্র সুিগ্ধ হইলে ক্ৰমে ক্ৰমে জামা প্রভৃতি খোলা উচিৎ। বোধ হয় যাহারা মোজা পরে তাহাদিগের শীঘ্ৰ পা ধুইলে স্বাস্থ্যের হানি হওয়ার সম্ভাবনা । তারপরে আহার করা যুক্তিসঙ্গত। কিছু কিছু ব্যায়াম করা কীৰ্ত্তব্য। রাত্র ১৫টা - জোর ১১টা অবধি-নিজ নিজ কাৰ্য্য, পুস্তক পাঠ, বা সঙ্গীতের চৰ্চাদি করিয়া নিদ্রা যাইবে । ছয় ঘণ্টার কম বা আট ঘণ্টার বেশী নিদ্রা যাওয়া ভাল নয়। জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত প্ৰত্যহ এই রকম এক প্রকারে নিয়মগুলিকে প্ৰতিপালন করিতে পারিলে নিশ্চয় উপকার হইবে। ফল, মূল, ডাল, ভাত, মাছ, মাংস, হাট, কোট, ধুতি, চাদর, চাপ্ৰকান, চোগা ইত্যাদি যেটিকে লাইবে, সেটিকে যেন শ্মশানের চিতাতে ছাড়া হয়। দেখ এই নিয়মগুলিকে প্ৰতিপালন করা কত দুরূহ ব্যাপার! মনে করিলেও, কোন রকমে নিয়মগুলিকে রক্ষা, করিতে পরিবে: না, কারণ আমাদিগের ভিতর জাতীয় ধৰ্ম্ম নাই। আপনা। আপনির ভিতর কোন বাটীতে নিমন্ত্রিত হইলে উক্ত নিয়মগুলিকে ভঙ্গ করিতে হয়। পাল-পার্বনে কিম্বা নিজের বাটীতে কোন কাৰ্য্য উপলক্ষে ত কথাই নাই। রবিবার বা অন্য কোন ছুটির দিনে আরও বেশী গোলমালা হয়। এক নিয়ম্ পালন পক্ষে এই সমস্ত বিপদ-আপদ হইতে রক্ষা পাইবার জন্য অবতারের মুখনিঃস্থত জাতীয় ধৰ্ম্মের প্রয়োজন; ফলত অবতার ব্যতীত ধৰ্ম্ম হয় না ।