কথোপকথন-রহস্য । 80 কাটিয়াছে যে কিছুই বুঝিবার উপায় নাই, তবে ভক্তিমাৰ্গট যে ৬y বোপদেব হইতে প্রচার হইয়াছে, এইটী খুব ঠিক। আৰ্য্যদের বা বৌদ্ধদের ভিতর জ্ঞান মার্গের পথে অনেক আছে, কিন্তু ভক্তি মার্গের পথি আদৌ নাই। ৬ বােপদেব হইতে ভারতে ভক্তি মার্গের প্রচার হইয়াছে, কিন্তু ব্যাপারটি এমন অদ্ভুত দাঁড়াইয়াছে যে ইহা ঠিক করার কোনও উপায় নাই । সে যাহা হউক, প্লেগারূপিনী মায়া কলিকাতায় আসিতে প্ৰায় সকলে কৃষ্ণ নাম করিতে থাকিল। পথে, মাঠে, ঘাটে ও বাটে সর্বত্ৰ কৃষ্ণ নাম কীৰ্ত্তন হইতে লাগিল। কৃষ্ণ নামের এমনই গুণ যে প্লেগাররূপিনী মায়া ভয়ে অস্থির হইয়া সহর হইতে চলিয়া গেল । দিঘিজয়ী, - গল্প বলিলেন, বিজ্ঞান বলিলেন না কেন ? ক্রেতা-তোমার কথা শুনিয়া আমি অত্যন্ত আনন্দ লাভ করিলাম, কারণ বিজ্ঞান কোথায় প্রয়োজন, এখন তুমি জানিতে পারিয়াছ। স্কুলে যত কিছু কাৰ্য্য করিবে, তাহা জ্ঞান, বিজ্ঞান, ও যুক্তির উপর করিবে। সূক্ষেম মুর্থ হইয়া ভক্তিটিকে বাড়াইবে, কিন্তু স্কুল ও সূক্ষমটি অতি দূরে এক হয়, ইহাও জানিবে। যতক্ষণ ভেদ-ততক্ষণ ভেদ, যখন অভেদ-তখন অভেদ, ইহার কারণ মুক্তি ও বন্ধন নিজের নিকট । তুমি যে বিষয়ের বিজ্ঞান জিজ্ঞাসা করিয়াছ, তাহ শুন ঃ সর্ব পুস্তকে শব্দটী ব্ৰহ্ম বলিয়া কথিত । অক্ষরগুলি শব্দের সহিত চিহুের দ্বারা গঠিত হয়, যদি ইহা ঠিক হয়, তাহা হইলে কৃষ্ণ নামের বিজ্ঞান যে শব্দ, ইহার কোনও ভুল নাই। সকল কলিকাতাবাসী কৃষ্ণ নামটীকে উচ্চৈঃস্বরে শব্দ করিতে লাগিল, শব্দটী মৰ্ত্ত হইতে আকাশে উঠিবার সময়, পথে দূষিত ভূতের সহিত মহা তুমুল যুদ্ধ করিল, পরে যুদ্ধে জয়ী হইয়া শূন্টকে
