সৰ্বজ্যোন্তের গল্প । , 8ፃሕs আসিয়া নফরদিগকে অনুমতি করিল,--শীঘ্ৰ চিকিৎসক আনয়ন কর। চাকর আবার তৎপর চাকরের উপর হুকুম তামিল করিল, হুকুম পর পর যাইয়া শেষে কাৰ্য্যে পরিণত হইল। চিকিৎসক আসিয়া উপস্থিত হইলে মহাপুরুষ চিকিৎসককে আদেশ করিল,— হে আয়ুৰ্বেদ পারগ বৈদ্য ! তুমি বৈদ্য ক্রিয়া করিয়া এই ব্যক্তির রোগাপিনয়ন কর, ইহার অনশন ব্যতীত অন্য কিছু ব্যাধি নাই । চিকিৎসক, —আপনার আদেশানুসারে আমি চিকিৎস৷ করিতে । আরম্ভ করিলাম, চতুর্থ দিবসে আরোগ্য লাভ করিবে । মহাপুরুষ ইহা শুনিয়া চলিয়া গেল, চিকিৎসক আয়ুৰ্বেদ মতে ব্যবস্থা করিতে লাগিল । তৃতীয় দিবসের রজনীযোগে কেবলচাদের সংজ্ঞা লাভ ঘটিল। প্রত্যুষে চিকিৎসক আসিয়া উপস্থিত হইল। চিকিৎসক রোগীর চক্ষুরুন্মীলন দেখিয়া ঠিক করিল, রোগী শীঘ্র আরোগ্য লাভ করিবে। রোগী চিকিৎসককে দেখিয়া এত আনন্দ অনুভব করিল যে রোগীর চক্ষু ষইতে ঝরে ঝর ‘করিয়া নাের ঝরিতে লাগিল, কিন্তু রোগীর চক্ষু তখনও নারদ প্রায় ছিল। অতি কষ্ট বা অতি আনন্দ হইলে চক্ষু হইতে আপনাপনি অবিরত জল বাহির হয়। চিকিৎসককে রোগী মৃদু মৃদু স্বরে বলিল,-আমার অত্যন্ত ক্ষুধা, পাইয়াছে, যৎকিঞ্চিৎ আহার পাইলে সন্তুষ্ট হই । চিকিৎসক রোগীর ক্ষুধা শুনিয়া আরও সন্তুষ্ট হইল, মনে করিল, রোগী অতি শীঘ্ৰ সবল হইবে। আপনার কি আহার করিতে ইচছা হয় ? রোগী,-জল । চিকিৎসক,-জল অতি তরল পদার্থ, কিছু গাঢ়তর বস্তু আহার করুন ।
