পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t চিন্তা-রহস্য । নানারকমের প্রশংসাপত্ৰ দিতে লাগিল। কিছুদিন পরে সে মনে করিল আমি সকলকে জয় করিয়াছি এবং দেশের ভিতর আমার অত্যন্ত মান হইয়াছে, কিন্তু ব্যাসকে পরাস্ত করিতে না পারিলে আমার বিবেকী। নামের গৌরবটি বৃদ্ধি পাইতেছে না, অতএব ব্যাসের আশ্রমে আমার আপাতত যাওয়া কৰ্ত্তব্য । এইরূপ চিন্তা করিয়া সে ব্যাসের আশ্রমাडिभूgथ फ्रनिब्न । " কিছুদিন পরে সে ব্যাসের আশ্রমে গিয়া পৌছিল। আশ্রমবাসীরা নূতন জন্তুকে দেখিয়া গুরুর নিকট যাইয়া বলিল,-গুরো ! আপনার আশ্রমে এক নূতন জন্তু আসিয়াছে, তাহার পোষাক ও রং অদ্ভুত, কিন্তু আকৃতিতে তাহাকে মনুষ্য বলিয়া বোধ হয়। আপনার অনুমতি পাইলে, আমরা তাহার সহিত কথোপকথন করি। গুরু বলিল,-তোমরা উহার সহিত কোন প্ৰকার আলাপ করিও না, ইঙ্গিতের দ্বারায় উহাকে আমার নিকট লইয়া আইস । শিষ্যেরা ইহা শুনিয়া যথায় জন্তুটি বেড়াইতেছিল, তথায় যাইয়া ইঙ্গিতের দ্বারায় তাহাকে গুরুর কাছে লইয়া আসিল, আসিবামাত্ৰ ব্যাস তাহাকে সমাদর করিয়া বসিতে আসন দিল । ব্যাস তাহার পােযুকের ঢং, রঙের ছাব্বা ও দেহের আড়াটিকে দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইয়া মানবাকার জন্তুটিকে জিজ্ঞাসা করিল, তোমার নাম কি ? তোমার বাটী কোথায় ? তোমার এখানে আসিবার কারণ কি ? যদ্যপি তোমার কোন প্রকার বাধা না থাকে অনুগ্রহ করিয়া বল । বিবেকী। উত্তর করিল,-আমার বাটী সর্বস্থানে এবং আমার নাম নাই, তবে তোমার নিকট কিঞ্চিৎ কারণ, বশত আসিয়াছি, তাহা তুমি পরে জানিতে পরিবে।