Nobo বিদেশী-রহস্য। Aasi আলোক, আদালত ও কেল্লা হইয়াছে। নিক্তির ওজনে সকলকার উপর সমভাবে আইন জারি চলিতেছে । মাঠে টাকা ফেলিয়া রাখিলে কাহারো লইবার ক্ষমতা নাই, এবং সুন্দরীকে বনে ফেলিয়া রাখিলে কোন প্ৰকার অত্যাচারের ভয় নাই-এমন কি মাগের বিনা হুকুমে কেহ মাগের সহিত বিলাস প্রসঙ্গে অধিকার পায় না।-- জবরদস্তীটি একবারে উঠিয়া গিয়াছে। কি সুন্দর আইন দেখ দেখিবাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাইতেছে । বর্ণ বিচার নাই। “ওরে শূদ্ৰ, তুই আস্তাকুড়ে দাঁড়া” এই সংহিতাটি নাই। যে গুণী সে আদরণীয়, যে ধনী সে মাননীয়, যে ভিখারী সেও পূজনীয়,—এই রকম মনের সুখ কখনো কি বজীয় হিন্দুরা পূর্বে ভোগ করিয়াছিল ? গলায় গুলিসূতা থাকিলে সে অপরকে বলে অস্পৰ্শীয় ;- তোর বিদ্যা, বুদ্ধি, বল, ধৰ্ম্ম, স্বৰ্গ—আমার পায়ের ধুলো ; তোর যা কিছু লক্ষনী আমাকে দে, আর তুই হু হু করে স্বর্গে উঠে যা – তাও আনন্দে চলিতেছে, কেননা স্বদেশী । নোেবল ব্রিটনের তোমাদিগের সহিত রূপে, কুলে, জাতিতে ও ধৰ্ম্মে ও আর আর সমস্ত বিষয়ে আলোহিদা হন, কিন্তু তঁাহারা কি প্রকার উদার প্রকৃতির মানব তোমরা একবার বিবেচনা করিয়া দেখা ! স্বদেশী ভাল,-না বিদেশী ভাল ? যাহার যাহা ইচ্ছা তাহাই কর, অর্থাৎ সরকারের আইনের সহিত কর কোন কথা নাই, বেআইনে কোন কাৰ্য্য করিলেই সর্বনাশ । নোেবল ব্রিটনের তোমাদিগের দেহকে ও ধনকে কি কি সুন্দর রূপে অন্যের হাত হইতে রক্ষা করিতেছেন ! মোট কথা, নোেবল ব্রিটনের কৃপায় বঙ্গটীি নরক হইতে আপাতত স্বর্গে অর্থাৎ উন্নতি মার্গে উঠিতেছে। স্থির হও, আরো কত কি দেখিতে পাইবে ।
