sSV বিদেশী-রহস্য। উপকার আছে, এইরূপে স্থলে খরচ করিলেই হয়, আর নিজের খরচ কমাইলেই হয় ; কিন্তু যাদু! সাহেবের সম্মুখে সদা নতশির করিতে হয়। তাই বলি, সঙ্গদেবে ফলভরা গাছও রাঢ়া হয়ে আকাশ পানে ধায় । তুতপূর্ব বড় লাট কুৰ্জন সাহেব ৰঙ্গকে ভাগ করিয়া তোমাদিগকে পোদারের হাত হইতে বঁাচাইয়া দিয়া গেলেন, অর্থাৎ তোমরা যে ভাগটি পোদারকে দিতে ছিলে, সেইটী আর পরে দিতে হইবে না, - যদি তোমরা আর কলিকাতা মুখো না হও । যাহার যাহা কিছু সম্পত্তি কলিকাতাতে আছে, তাহা সব বিক্ৰী করিয়া ফেল, যদিও আপাতত কম পয়সা পাইবে, কিন্তু সময়ে উহা অপেক্ষা শতগুণ লাভ করিবে । তাই বলি, কলিকাতাকে ছাড়িয়া তোমরা ছারপোকার কামড় হইতে বঁাচ । কলিকাতায় খরচ ব্যতীত তোমাদিগের পক্ষে আর কি আছে ? তবে যাহারা পয়সা রোজগার করিতে চায়, তাহাদিগের পক্ষে আপাতত • কলিকাতাটি লক্ষনীর ভাণ্ডার হয়। একাধারে নিমতলা প্লট, অপরাধারে সক ষ্টীট, একুধারে চিৎপুর রোড, অপর ধারে ষ্ট্যাণ্ড রোড, এই চতুঃসীমার মধ্যবাসীদিগের কাহারো ? কি কিছু পূর্বে ছিল ? কিন্তু এখন কলিকাতার ভিতর প্রধান ধনীর স্থান বলিয়া কথিত । এই সকল ধনী ব্যবসাদাররা যদি নিজের দেশে যাইয়া ৰাস করে, আর এখানে খালি ৰাসাবাড়ীটিকে রাখে, তাহা হইলে বড় আনন্দের বিষয় হয় । যাট বৎসর পূর্বে ঢাকাতে প্ৰায় তিন লক্ষ লোক বাস করিত, কিন্তু আপাতত ঘাট হাজারেতে আসিয়াছে। যদি বঙ্গচ্ছেদটি আর ষাট বৎসর না হইত, তাহা হইলে ঐ ঢাকাটি একটী গণ্ডগ্রামের মধ্যে পরিগণিত হইত, আর সঙ্গে সঙ্গে পুর্ব ৰাঙালপুত ধনীগুলিও
