পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NeR প্ৰকৃতি-রহস্য । রূপে চলে না, ফলত এই কিম্বদন্তীটি মিছা নয়-“সেই ধান, সেই চাল, গিন্নি বিনে আল গাল”। পুরাকালে শক্তিটি নিরাবরণী ছিল, পরে গুণসহকারে আবরণী হয় - আমাদের স্ত্রীলোকদের ভিতর আবরণ কই ? দিশহাত কাপড় ব্যতীত অন্য কিছুই আবরণ আপাতত দেখিতে পাই না। পায়ে জুতা ও মোজা নাই, তদুপরি জাংইয়া নাই, কোমরে ঘাঘরা ও কোমর বাঁধ নাই, মাই-বঁধে নাই, গলা হইতে পা পৰ্য্যন্ত কোন প্ৰকার জামা নাই, মাথা-বাধ নাই, যদি কোন বাধাবাপির ভিতর আমরা নাই, তবে কি করিয়া সামাজিক নিয়মে আবদ্ধ হইতে পারি এবং সভা বলিয়া জগতে কি করিয়া পরিচয় দিতে পারি ? -- আমরা স্ত্রীলোকদিগকে আঁধার ঘরের আরসোল পাখী করিয়াছি, তাই উহাদিগের গায়ে বিটকেল গন্ধ হইয়াছে। আমরা যে একবাদী সৌর ও সাগ্নিক হই, ফলত আলোকটী যে আমাদের উপাস্য বিষয় হয়—অন্ধকারে কি কোন কাৰ্য্য হয় ?--তাই বলি, আইস আমরা স্ত্রীলোকদিগকে বাহির করি ; তবে সংস্কার গুণে যদি আপাতত না পারি-আইস স্ত্রীলোক গুলিকে সুশিক্ষিতা ও সতী করি, তাহা হইলে পরে আপনি হইয়। যাইবে । বন্ধু! রাধিকার দুইটা পুরুষ থাকিতে কি করিয়া সতী হইল, বলি শুন :-রাধিক পূর্বে, ঘরগড়া সতী ছিল, যেদিন হইতে কৃষ্ণের প্ৰেমে মজিয়া কৃষ্ণ হইয়াছিল সেই দিন হইতে রাধিকা প্ৰকৃত সতী হইয়াছিল। রাধিক কৃষ্ণের প্রেমে মুগ্ধ হইয়া আর আয়ানেতে রত ছিল না, তবে বিবাহ নিয়মটিকে ৰাহিক ব্যাপারে বরাবর ঠিক, রাখিয়াছিল। রাধিক মানিনা হইয়া বাহিকে দেখাইয়াছে যে আমি কৃষ্ণকে চাই, না, কিন্তু অন্তরে রাধিক শ্ৰীকৃঞ্চ ব্যতীত অন্য বিষয়কে মনে স্থান দেয় নাই ; যে কোন বিষয়ৰুে ইন্দ্ৰিয়াদির