পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ooo প্ৰকৃতি-রহস্য । হইল, আহা কি শুনিতে মধুর। অসভ্য কথকেরা রামায়ণ ও ও মহাভারতের প্রকৃত অর্থটি শ্রোতা দিগকে বুঝাইয়া দিবে। না, খালি শিখাইবে দেবতাগুলিকে নমস্কার করা ? আর আমাকে পয়সা দিয়া স্বগের সিড়ি কর – এই কথক গুলির জন্য জ্বালাতন হইয়াছি, তুমি পুরুষ না স্ত্রীলোক যে ভলণ্টিয়ার হইতে পরিবে না । বড়ই লজজার কথা । বোকা, — আমি ভেতো বাঙালী হয়ে কি করে ভলণ্টিয়ার হতে পারি, সেদিন একটা ফোড় কাটা দেখে ভিরামী গেলুম, নড়য়েতে রক্তের নদী। নালা বয়, প্ৰাণটা খোয়াব কি — আমি রাতিতে বিছানায় একল! শুতে পারি না, মাগের অ্যাচলের সাথে আমার কেঁচার খটটা না বাঁধা থাকিলে বুকটা ঢিপ ঢপ করে, আর ঘুম হয় না, তবে তুমিত খুব রণবীর হয়েছে। শিয়ানা,-আমি বীর হইতেছি, আর তুমি কিনা পুরুষ হইয়। আৰ্দ্ধাঙ্গের অ্যাচলের সহিত তোমার কোচার খাটটিকে বধিয়া রাত্রিতে শুইয়া থাক, বড়ই লজিক্তার কথা । বোকা,- দেখ ভাই কতকগুলো কয়েৎ বৰ্ম্ম পরে ঝগড়া করিবে বলে, কামারের বাড়ীতে ফরমাস দিয়েছে, ওরা বোধ হয় তোমার কথা শুনিতে পারে । শিয়ানা,-তুমিও যে সেই শ্ৰী রামচন্দ্রের ও শ্ৰীঅৰ্জনের ঠিক ক্ৰম বংশধর হও, তুমি পরিবে না কেন ? বোধ হয় তুমি হোটেলে খাও না, সেই জন্য তোমার অস্থিতে বল জন্মায়নি । তুমি এখনও জুজুকে দেখিয়া ভয় পাও, তুমি একটু একটু সুপ খাও, আর ইংরাজী ভাষাটাকে বেশ ভাল করিয়া মুখস্থ রােখ, আর সব সভাতে যাইতে সুরু করে, তাহা হইলে তোমার সাহস