পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অটল প্রতিজ্ঞা।
৬৭

হৃদয় এমন উত্তেজিত হইয়া উঠিল যে তিনি পুত্রদ্বয়কে তৎক্ষণাৎ নিকটে ডাকিলেন। তখন তাহারা আর বালক নয়, যৌবনের কান্তিতে দুজনেই পরম সুন্দর। বীর ভীম পিতার চরণ বন্দনা করিয়া বক্ষ স্ফীত করিয়া দাঁড়াইল।

 পিতা দুজনের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “ভীম তুমি একদিন মিবারের রাণা হইবে, এই আশা যদি হৃদয়ে পোষণ কর, তবে এই তরবারি দিতেছি আমার সাক্ষাতেই ভ্রাতার প্রাণবধ কর। ভবিষ্যতে যেন ইহার রক্তে এবং বীরগণের রক্তে মিবার ভূমি কলঙ্কিত না হয়।” ভীমের বড় বড় উজ্জ্বল চক্ষু দুইটী জ্বলিয়া উঠিল, তিনি পিতার দিকে চাহিলেন দেখিলেন গভীর আবেগে পিতার দেহ কাঁপিতেছে। ভ্রাতার দিকে চাহিয়া দেখিলেন, সেও পিতার মুখের দিকে অবাক হইয়া চাহিয়া আছে! ভীমের চক্ষু জলে পূর্ণ হইয়া আসিল! তিনি গদ্গদ স্বরে বলিলেন, “মহারাজ! স্থির হউন! পিতঃ আপনি ব্যথিত হইবেন না। আজ আপনার চরণ স্পর্শ করিয়া বলিতেছি, মিবার সিংহাসনের আশা আমি জন্মের মত বিসর্জ্জন দিলাম। আমি ভ্রাতার কেশ এ হস্তে স্পর্শ করিব না। জয়সিংহই রাণা হইবে। সে আপনার দেহের অধিকারী; দুর্ভাগা আমি চিরদিনই আপনার