পাতা:মিল্টনের জীবন চরিত.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মিল্টনের জীবন চরিত
২১

জীবগণের প্রতি কৃপাবলোকন করিতে অনুরোধ করেন। পরমেশ্বর তাঁহাদের প্রতি কৃপা প্রকাশ করেন, কিন্তু সুখোদ্যান হইতে বহিস্কৃত করিতে আজ্ঞা দেন। হবার খেদোক্তি, আদম ও হবার জনৈক স্বৰ্গীয় দূতদ্বারা অত্যুচ্চ পর্ব্বতে স্থাপন এবং তদকর্ত্তৃক বর্ণিত মহাবন্যার পূর্ব্ব পর্য্যন্ত ভবিষ্যৎ ঘটনাবলীর বৃত্তান্ত এই পর্ব্বান্তর্গত।

 দ্বাদশ পর্ব্বে ঈশ্বর-সন্তানের পৃথিবীতে অবতরণ তথা তাঁহার মৃত্যু, পুনর্জীবন ও স্বর্গে প্রত্যাগমন, এই বিবরণ পূর্ব্বোক্ত দূত বর্ণনা করিয়া আদম ও হবাকে সুখোদ্যান হইতে লইয়া যান।

 ‘প্যারাডাইস লষ্টের’ পূর্ব্ব বিবরণ পাঠ করিলে সকলেরই হৃদয়ঙ্গম হইবে যে ইহা খ্রীষ্ট ধর্ম্ম সম্বন্ধীয় গ্রন্থ। সকলে খ্রীষ্টান নহেন, কিন্তু তজ্জন্য এতদ্গ্রন্থকে অবহেলা করা যাইতে পারে না। ধর্ম্মের বিষয় বিবেচনা ও রচনা লালিত্যের প্রশংসা ভিন্ন। ইংলণ্ডীয় লোকেরা অধিকাংশ পৌত্তলিক ধর্ম্মের বিপক্ষ। কিন্তু মহাজ্ঞানী ইংরাজেরা ইলিয়দ্গ্রন্থ বা রামায়ণ, মহাভারত পাঠ করিয়া