পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ बेिश्वब्रवॉर्कौ दांत्रांशैौ । অক্টোবরের মধ্যভাগে আমরা এডেনে পৌছিলাম। এখানে কয়েকজন আরোহী তীরে অবতরণ করিলেন। শ্বেতাঙ্গ পুরুষ রমণী অধিকাংশই আদমসহর পর্যবেক্ষণার্থ ক্ষুদ্র ছিপসহযোগে তীরে গেলেন । আমিও জুতা ও টুপী ক্রয় করিবার নিমিত্ত সাহেবের অনুমতি প্রার্থনা করিলাম। আমার প্রার্থনা গ্রাহ হইল না; আমি জাহাজে বসিয়াই দূর হইতে নগর শোভা নিরীক্ষণ করিতে লাগিলাম। দেখিতে দেখিতে সন্ধ্য সমাগত হইল, একে একে আকাশে নক্ষত্র মালা ফুটিতে লাগিল, আর সম্মুখবর্তী অপূৰ্ব্ব নগরটাও আলোকমালায় সজ্জিত হইয়৷ সাগর বক্ষে শোভা পাইতে লাগিল। যাহারা নগরপরিদর্শনে গমন করিয়াছিলেন, তাহারা কত রকম আনন্দ উপভোগ করিয়া ফিরিয়া আসিলেন। আর আমি প্রকৃতিমুন্দরীর অপূৰ্ব্ব মৃত্য দেখিয় আপন দগ্ধ প্রাণ শাস্ত করিতে লাগিলাম। সকলে জাহাজে আসিলে যাত্রার আয়োজন হইতে লাগিল। বাপীয়যান গমনার্থ প্রস্তুত হইলে, গণনা দ্বারা দেখা গেল একজন এপধিকারী এ পর্য্যন্ত আসিতে পারেন নাই। আহানস্থচক ভূৰ্য্যনাদ বার বার ধ্বনিত হইল, কিন্তু এপথিকারীর দেখা নাই। হতভাগ্য যুব কূলের সন্নিকটে ছিপ না পাইয়া আসিতে পারিতেছে না। প্রায় এক ঘন্ট। তাহার নিমিত্ত বৃথা অপেক্ষা করিয়া জাহাজ চলিতে আরম্ভ করিল, এমন সময় অদূরে একটা আলোকশিখা হেলাইতে হেলাইতে একখানি ছিপ তীরবেগে আমাদের জাহাজের উদেশে আসিতেছে দৃষ্ট হইল। আমরা পরিত্যক্ত এপধিকারীটার জন্য উৎকণ্ঠিত ছিলাম, ঐ ছিপখানি, তাহারই হইবে ভাবিয়া জাহাজের গতি স্থির করা হইল । দেখিতে দেখিতে ছিপখানি জামাদেরই জাহাজের পার্থে জাসিয়া লাগিল। বল অনাবশুৰ যে আগন্ধক ব্যক্তি এপধিকারী সাহেব। তিনি প্রধান কৰ্ম্মাধ্যক্ষের নিকট ৰংপরোমান্তি তিরন্থত হইলেন।