গুলি ডুবাইয়া তুলিয়া লইলে-ই গুজিয়া পাক হইল। কিন্তু বাজারে যে গুজিয়া প্রস্তুত হইয়া থাকে, তাহা এ প্রণালীতে তৈয়ার হয় না। তাহাতে কেবল-মাত্র চিনি ও ক্ষীর ব্যবহৃত হইয়া থাকে।
উপকরণ ও পরিমাণ।—ছানা এক সের, একতার বন্দ চিনির রস এক সের, ছোট এলাচের দানা ও গোলাপী আতর আবশ্যক-মত।
এক সের রসগোল্লা পাক করিতে হইলে, যদি-ও এক সের রসের ব্যবস্থা; কিন্তু অল্প রসে উহা গা মেলিয়া ভাসিতে পারে না। এজন্য চারি সের রসে পাক করিলে-ই সমধিক উৎকৃষ্ট হইয়া থাকে। পাকের পর ঐ অতিরিক্ত রস দ্বারা অন্যান্য মিষ্ট দ্রব্য পাক হইতে পারে। এক্ষণে পাচকগণ সহজে-ই বুঝিতে পারিবেন, যে পরিমাণ ছানার রসগোল্লা পাক করিতে হইবে, তাহার চারিগুণ রসে পাক করিলে-ই ভাল হইয়া থাকে। প্রথমে চিনির রস প্রস্তুতের নিয়মানুসারে একতারবন্দের রস প্রস্তুত করিয়া লইবে। রস কড়া হইলে, তদ্দ্বারা রসগোল্লা ভাল হইবে না।
রসগোল্লার পক্ষে টাট্কা ছানা-ই উত্তম। টাট্কা নিরেট ছানায় রসগোল্লা প্রস্তুত করিবে, অর্থাৎ উহাতে যেন জল না থাকে এবং নরম থস্থসে না হয়। ছানার জল বাহির করিয়া, উত্তমরূপে তাহা চট্কাইবে। ব্যবসায়িগণ এই সময় উহাতে সবেদা মিশাইয়া থাকে; কিন্তু সবেদা মিশাইলে রসগোল্লা অতি জঘন্য হইয়া থাকে। ছানা উত্তমরূপে চট্কাইয়া, তদ্দ্বারা এক একটি গোল গোল দলা প্রস্তুত করিবে। ইচ্ছা হইলে, উহা ছোট কিংবা বড় আকারে করিতে পারা যায়। এবং তাহার মধ্যে পুর দিতে হয়। নানা প্রকার দ্রব্য দ্বারা রসগোল্লার পূর হইয়া থাকে। অর্থাৎ