কমলা-লেবুর কষ্টার্ড।
একটি লেবুর খোসা জলে সিদ্ধ করিয়া নরম কর। সিদ্ধ হইলে জল হইতে তুলিয়া, আধ পোয়া চিনির সহিত হামাম-দিস্তায় থেত কর। এবং দুধের দেড় পোয়া গরম সর অথবা ঘৃত ও চারিটি ডিমের হরিদ্রাংশ উহার সহিত বেশ করিয়া মিশ্রিত কর। এদিকে একটি চিনে মাটির পাত্র (জগ্) লইয়া, তাহাতে পূর্ব্ব-প্রস্তুত পদার্থ ঢালিয়া দাও। এবং গরম জলে ঐ পাত্রটি রাথিয়া উহা ঘন করিয়া লও। পরে কুসুম কুসুম গরম থাকিতে থাকিতে, সমুদায় লেবুর রস উহাতে ঢালিয়া দিবে। এবং পরিবেষণকালে এই কষ্টার্ডের উপর চিনির রসে পাক-করা লেবুর খোসার কুচি দিতে পার। আর একটি কথা মনে রাখা আবশ্যক যে, সর অভাবে দুগ্ধ-ও ব্যবহার করিতে পার; কিন্তু দুধে ছয়টি ডিমের হরিদ্রাংশ মিশাইয়া লইবে।
কাঁচা কলার বরফি।
উপকরণ ও পরিমাণ।—কাঁচা কলা (ত্বক্-রহিত) এক সের, ক্ষীর এক পোয়া, জায়ফল-চূর্ণ এক তোলা, জয়িত্রী-চূর্ণ এক তোলা, চিনির রস দেড় সের।
প্রথমে কলার খোসা ছাড়াইয়া, পাতলা ধরণে ফুটিয়া শীতল জলে রাখিবে। পরে, তাহা জল হইতে তুলিয়া, ঘৃতে বাদামী ধরণে তাজিয়া নামাইয়া লইবে। এখন এই তর্জ্জিত কলা উত্তমরূপ বাটিয়া, মোমের মত করিবে। পরে, তাহাতে সমুদার ক্ষীর বেশ করিয়া মিশাইয়া লইবে!
এদিকে, একখানি পাক-পাত্র জালে চড়াইয়া, তাহাতে ঘৃত ঢালিয়া দিবে এবং উহা পাকিয়া আসিলে, তাহাতে ক্ষীর-মিশ্রিত কদলী ঢালিয়া দিয়া নাড়িতে থাকিবে। এই সময় তাহাতে জায়ফল ও জয়িত্রী-চূর্ণ