পাতা:মীরাবাঈ - অমরচন্দ্র ঘোষ.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శాక్షాకాడా سـم بجٹتخته 常< جہ ---مسلسعي. কর্কশ গিরিকন্দরে ও করুণাধারার কল্লোল শোনা যায়। খর রবিতাপদগ্ধ মরু-বক্ষেও কোমল কুমুমের সন্ধান পাওয়া যায়। শক্তির একনিষ্ঠ সাধক রাজপুত জাতির মধ্যেও শ্ৰীগৌরাঙ্গের কীৰ্ত্তন গীত হয়। প্রেমের অবতার শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত মহাপ্ৰভূব ভক্তি-তরঙ্গে শুধুই যে “শান্তিপুর ডুবু ডুবু, নদে ভেসে যায়।” তাহা নহে। তাঙ্গর প্ৰেমধৰ্ম্ম সমগ্র ভারতবর্ষকে উদ্বেল করিয়া তুলিয়াছিল। শ্ৰীগোবিন্দের সেবা ও তাহার নাম কীৰ্ত্তন ছিল রাঠোরকুমারী মীরার আলাল্য ব্রত । মজ্জাগত ধারণা কঠোর শিশোদীয় বংশের রাজপরিবারভুক্ত হইয়া ও তাহার হৃদয় হইতে উৎসাদিত হইতে পারিল না । তাই শত বাধা বিপত্তি, শত কলঙ্ক ও নিন্দার তীক্ষবাণ সত্বেও, শ্ৰীগোবিন্দের চরণ হইতে এক পদ ও সরিয়া যান নাই। শান্ত, দান্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর—এই পঞ্চ রস, বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের-, তথা সাধনায় সার লক্ষ্য। এই মধুর রসের গণ্ডাব ভিতরে সকল রসেরই সমন্বয় দেখা যায়। “মীরাবাঈ-এর এই গোবিন্দভজনে সেই মধুর রসেরই পূর্ণ অভিব্যক্তি দেখিতে পাই। গোপিকা শ্রেষ্ঠ শ্রীরাধার মধুর ভাব, আত্মনিষ্ঠ ও আত্মনিবেদন "মীরাবাঈ-এর চরিত্রে পূর্ণ পরিস্ফুট । তাই তাহার । মুক্তি বা মধুব-মিলন সম্ভব হইয়াছিল। এই পুণ্যগাথা এখনও ইতিহাসের পৃষ্ঠায় স্বর্ণক্ষরে অঙ্কিত হইয় তাহার কনকদীপ্তি বিকীরণ করিতেছে। ‘আমি তাই সেই মহীয়সী নারীর চরিত্রাঙ্কনে অসীম গৌরব অনুভব করিতেছি। ੋਂ বিষয়ে কতটা কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি তাহা সাধারণেই বিচার করিবেন।