পাতা:মুক্তি-পথে - গোপীপদ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি-পথে २ 5S গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের দক্ষিণার বেলায় যত কাপণ্য । বেশ কাজ-কৰ্ম্ম চলছে । নিশ্চিন্ত হয়ে বাড়ী ফিরে যান। জাত এমনি গড়ে উঠবে। মিঃ মুখুটি—শুনছি নাকি তার বেতের চোটে ছেলের অস্থির হয়ে উঠেছে । প্রকাশ–শিক্ষা যখন অব্যবসায়ীর হাতে এসে পড়ে, তখন সে তার দীনতাকে চাপ দেবার জন্য এই অতি সহজ ও সাধারণ উপায় অবলম্বন করে । এতে আর আশ্চৰ্য্য হবার কি আছে ? মিঃ মুখুটি—তা হলে কি এ অবস্থার কোন প্রতীকার নাই ? মি: তলাপাত্র—তাকে ছাড়িয়ে দিয়ে এক্ষুণি è Philosophy3 M.A. ভদ্রলোককে নিয়ে আসাই হচ্ছে একমাত্র প্রতীকার । প্রকাশ—তাতেই বা কি হবে ? তাকে ত ঐ দক্ষিণাই দেবেন ? আর ছাই দক্ষিণ দুই টাকা বেশী দিলেই বা কি হবে ? আমাদের দেশের ইস্কুলগুলোর অবস্থা আর বলবেন না । এ গুলো শিক্ষা দেবার যন্ত্র, এক একটা কারখানা । শিক্ষক মহাশয়গণ সেই বিরাট কারখানার অংশ-বিশেষ। কেমন এগারটার সময় ঢং ঢং করে ঘণ্ট বাজিয়ে কারখানার দরজা খোলে- মাষ্টার মশায়দের মুখ চলতে আরম্ভ হয়। চারটের সময় কল বন্ধ হয় ? সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুখও বন্ধ হয়, আর ছাত্রর দুই এক পাতা কলে ছাট বিদ্যে নিয়ে মহা আনন্দে বাড়ী ফেরে। পরীক্ষার সময় সেই বিদ্যার যাচাই হয়। তারপরেই মার্ক পড়ে যায়। মিঃ মুখুটি—সে অবস্থা ত আমরা উন্টোতে পারি না। তবুও বৰ্ত্তমানে কি উপায় তাই স্থির করুন। প্রকাশ—আমি কোন উপায় দেখি না। আমাদের ছেলেরা