> > 。 মুদ্রারাক্ষস । বিয়োগে যেমন সাধুজনের হৃদয় শুষ্ক হয় তদ্রুপ নন্দবিয়োগেই যেন সরোবর পরিশুষ্ক হইয়াস্থে অবিবেকীর চিত্ত্ব যেমন কুর্নীতি-জালে অণকীর্ণ হয়, তদুপ উদ্যানভূমি কন্টকে পরিপূর্ণ হইয়াছে। বৃক্ষবাটিকার অভ্যন্তরে কপোতকুল কোলাহল করিতেছে । ক্ষিতিরুহ সকল পর শুধারে ক্ষত বিক্ষত হইয়াছে, ব্ল হৎ বৃহৎ সৰ্পগণ তদুপরি নিৰ্ম্মোক পরিত্যাগ করিয়। শাখাবলম্বন পূৰ্ব্বক শ্বাস পরিত্যাগ করিতেছে । বোধ হইতেছে যেন ভূজঙ্গম-গণ চির-পরিচিত মিত্রের ক্ষতাঙ্গে চীরখ ও বন্ধন করিয়। দুঃখে দীর্ঘ নিশ্বাসই পরিত্যাগ করিতেছে । রাক্ষস এইরূপ বিলাপ করিতে করিতে যেমন শীতল শিলাতলে উপবিষ্ট হইবেন, অমনি আনন্দোৎফুল্ল নাদী নিনাদ ন গরমধ্য হইতে সমুদীর্ণ হইয়। উহার কর্ণগোচর হইল । রাক্ষস মনে করিলেন বোধ হয় মলয়কেতু সংযমিত হইয়া রাজভবনে আনীত হওয়াতেই এরূপ বিজয়ধ্বনি হইতেছে । তখন তিনি আকাশে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিতে লাগিলেন হা বিধাতঃ ! তোমার মনে ইহাই ছিল অামি প্রথমে শক্রর ঐশ্ব র্য্য শ্রাধিত হইয়াছিলাম, এ দর্শিতও হইলাম, এক্ষণে আমাকে অমুতাবিন্ড করাই তোমার অবশিষ্ট রহিল । রাক্ষস এই কথা বলিয়। রোদন করিতে আরম্ভ করিলেন ।
