झुठौम्न अरू । ፃ 4 চাণ –বৃষল, মন খুলে প্রশ্ন কর, আমারও অনেক কথা বলবার ठो छ् । রাজ।—আমি এই জিজ্ঞাসা করচি– চাণ।— আমি তার উত্তরে এই বলচি-- রাজা । —যে ব্যক্তি আমাদের সকল অনর্থের হেতু সেই মলয়কেতু যখন পলায়ন করলে, তখন ঠাকুর আপনি সে বিষয়ে উপেক্ষা করলেন কেন ? চাণ।—বৃষল ! মলয়কেতুর পলায়নে উপেক্ষ না করলে দুটি পস্থার মধ্যে একটি পন্থা অবলম্বন করতেই হত । হয় অনুগ্রহ নয় নিগ্ৰহ । যদি নিগ্রহ করা যেত, তাহলে আমাদের দ্বারাই পৰ্ব্বতক নিহত হয়েছে, লোকের মনে এইরূপ বিশ্বাস হত—আর এই কৃতঘ্নতা-অপবাদে আমাদের নিজেরই তাহলে পোষকতা করা হত। পূৰ্ব্ব-প্রতিশ্রুত অৰ্দ্ধরাজ্য দিতে হবে বলে আমরা যে তার বিনাশ সাধন করেছি, এতেও আমাদের কৃতঘ্নতা-অপরাধ সপ্রমাণ হত—এই সব কারণেই আমি তার পলায়নে উপেক্ষা করেছিলেম। রাজা –ঠাকুর, আচ্ছ। এ যেন হল । রাক্ষস এই নগর হতে চলে’ গিয়ে নগরের বাহিরে যে এখন অবস্থান করচেন, এবিষয়েও তো আপনার উপেক্ষ প্রকাশ পায়—এ বিষয়ে ঠাকুরের উত্তর কি ? চাণ –নিজ প্রভুর প্রতি অচল অনুরাগ বশতঃ রাক্ষস নগরে বহুকাল বাস করে—আর অনেক দিন একত্র থাকায়, চরিত্রজ্ঞ নন্দানুরক্ত প্রজাবর্গের সে বিশ্বাস-ভাজন হয়। বুদ্ধি-পৌরুষসমন্বিত সহায়সম্পদযুক্ত কোষ-বল-বিশিষ্ট রাক্ষস নগরের মধ্যে থাকলে, মহান আভ্যন্তরিক শক্রতার স্বষ্টি হওয়া সম্ভব ; কিন্তু নগর হতে দূরীকৃত হলে, যদিও বহিঃশত্রুতার উৎপত্তি হতে
পাতা:মুদ্রা-রাক্ষস.djvu/৮৩
অবয়ব