পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । > ミ○ নামে এক জন সিদ্ধপুরুষ বহুক্রোশব্যাপী এক জাঙ্গাল ও একটা দীঘী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন বলিয়া শুনা যায়। * উক্ত জাঙ্গাল ; ও দীঘী এক্ষণে র্তাহার নামে প্রসিদ্ধ। এই সমস্ত দেখিয়া স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, রাঙ্গামাটা প্রাচীন কাল হইতে একটা সমৃদ্ধিশালিনী নগরীরূপে বিদ্যমান ছিল । রাঙ্গামাটর নিকট পূৰ্ব্বে হরিনগর নামে এক প্রসিদ্ধ গওগ্রাম ছিল, তথায় বহুসংখ্যক । ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ও অন্যান্ত জাতি বাস করিত। ভাগীরথীঃাবনে উক্ত গ্রামের ধ্বংস হওয়ায়, তাহার অধিবাসিগণ নানাস্থানে বিক্ষিপ্ত হইয় পড়ে। কতক অধিবাসী রাঙ্গামাটর নিকটস্থ যদুপুর প্রভৃতি গ্রামে আসিয়া বাস করে। মুসল্মাম্রাজত্ব সময়েও রাঙ্গামাটা একটা প্রসিদ্ধ স্থান বলিয়া কথিত হইত। কেহ কেহ ইহাকে ফৌজদারী রাঙ্গামাট বলিয়া থাকেন, কিন্তু তাহ প্রকৃত নহে। উক্ত ফৌজদারী রাঙ্গামাটা আসামের অন্তর্গত। বঙ্গদেশে অনেকগুলি রাঙ্গামাটা আছে, তন্মধ্যে মুর্শিদাবাদের রাঙ্গামাটা সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ। কর্ণেল রেভার্ট তাহার তবকৎ-নাসিরির অনুবাদে গঙ্গার পশ্চিম ও পুৰ্ব্বপারস্থ বিস্তৃত প্রদেশদ্বয়ের রাঙ্গামাটা ও ঢাকা নামে যে নগরীদ্বয়ের উল্লেখ করিয়াছেন, তন্মধ্যে র্তাহার উল্লিখিত রাঙ্গামাটা, মুর্শিদাবাদের রাসামটি বলিয়া বোধ হয়। বাঙ্গলার দ্বিতীয় ওলন্দাজ গবর্ণর ম্যাথিউ ভ্যাণ্ডেল ব্রুক তাহার ১৬৬০ খৃষ্টাব্দের মানচিত্রে রাঙ্গা

  • এইরূপ প্রবাদ আছে যে, কেদার রায় প্রত্যহ রাত্রিতে সেই বহুদূরঝাপ জাঙ্গাল দিয়৷ যাতায়াত করিতেন, সেই জন্ত লোকে বলিয়া থাকে—

“বীপের ঠাকুর কেদার রায়, রেতে আসে রেতে যায়।” .