পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। >b"? আধ্য প্রদান করে। অদ্যাপি তাহ সেই নামেই অভিহিত হইয় থাকে। জীয়ৎকুড়ির গর্ভে যে অৰ্দ্ধপ্রোথিত দেবীপ্রতিমা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাকেই লোকে উক্ত কুণ্ডের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বলিয়া বিশ্বাস করে। উহা কোন দেবতার মূৰ্ত্তি তাহা বুঝিতে পারা যায় না। ১•৷১২ বৎসর পূৰ্ব্বে কুগু হইতে শতাধিক হস্ত' ব্যবধানে এক খণ্ড প্রস্তর দৃষ্ট হইত, লোকে তাহাকে সুড়ঙ্গের মুখরোধক প্রস্তর বলিয়া অভিহিত করিত, এক্ষণে তাহ ভূগর্ভস্থ হইয়াছে। জীয়ৎকুঁড়ি হইতে প্রায় দেড় ক্রোশ পূৰ্ব্বে মহেশাল নামে গ্রাম অবস্থিত। তখায় পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে প্রায় ৩২ রশি দীর্ঘ এক প্রকাও দীদ্বী আছে। তাহারই নিকটে রাজা মঙ্গল সেনের" বাটীর ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হইয়া থাকে । মঙ্গল সেন হোসেন সাহার দরবারের একজন কৰ্ম্মচারী ছিলেন বলিয়া উক্ত হন। তাহার বাটীর ভগ্নাবশেষ হইতে অনেক গৃহাদি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । দীর্ঘীর উত্তর পাহাড়কে শক্তিপাহাড় কহে, তথায় এক প্রস্তরময়ী শক্তিমূৰ্ত্তি ছিলেন বলিয় তাহার উক্ত নামকরণ হইয়াছে। শক্তিমূৰ্ত্তি এক্ষণে ভগ্নাবস্থায় পতিত । দীর্ঘীর চারিট বাধা ঘাটের চিহ্ন দেখা যায়। উহার নিকট আরও দুইট ক্ষুদ্র দীর্ঘী আছে। মঙ্গল সেনের নাম হইতে মঙ্গলপুর পরগণা হইয়াছে বলিয়া প্রবাদ প্রচলিত। মঙ্গল সেন মহেশালের চৌধুরীবংশের আদিপুরুষ বলিয়া কথিত । মঙ্গল সেনের বাটীর ভগ্নাবশেষের মধ্য হইতে হোসেন সাহার নামাঙ্কিত যে রজত মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে, এ স্থলে তাহারই প্রতিকৃতি প্রদর্শিত হইল। সাগরদীঘীর নিকটেও’ হোসেন সাহার নামাঙ্কিত কয়েকটী রজত মুদ্রা পাওয়া । भिंब्रां८छ् । । - - - क