পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। ጏboo রাজত্বসময়ে এই দীঘী খনিত হয়।* হোসেন সাহা ৯২৭ হিজরী বা ১৫২ খৃষ্টাব্দে দেহ ত্যাগ করেন। তাহ হইলে তাহার মৃত্যুর ৬ বৎসর পূৰ্ব্বে সেখের দীঘী খনিত হইয়াছিল বলিয়া জানা যাইতেছে । এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে, হোসেন সাহ গৌড় হইতে জগন্নাথ পৰ্য্যস্ত রাজপথ নিৰ্ম্মাণ ও স্থানে স্থানে দীঘী খনন করাইয়া দেন। সেই সকল দীর্ঘীর মধ্যে সেখের দীর্ঘীই বৃহত্তম। চাদপাড়ার সহিত হোসেন সাহার বিশেষরূপ সম্বন্ধ থাকায় সম্ভবতঃ তাহার নিকটে র্তাহার একটী সৎকীৰ্ত্তি স্থাপনের ইচ্ছা হইয়াছিল, সেইজন্য বোধ হয় এই বিশাল সেখের দীর্ঘী খনিত হইয়া থাকিবে। সেখের দীর্ঘীর খননসম্বন্ধে নানারূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে। আমরা নিম্নে তাহার যথাযথ বিবরণ প্রদান করিতেছি । এইরূপ কথিত আছে যে, যে সময়ে হোসেন সাহার আদেশে সেথের দীঘী খনিত হইতেছিল, সেই সময়ে তাহার নিকটে এক জন ফকীর অবস্থিতি করিতেন। ফকীরের অলীে- a.ns. কিক ক্ষমতার কথা ঐ অঞ্চলে বিস্তৃত হইয় পড়ে। আৰু সৈয়দ সাধারণ লোকে তাহাকে বিস্ময়ের চক্ষে নিরীক্ষণ ত্রিমিজ । করিত। দীঘীখননকালে ফকীর তাহার পাহাড়ে বসিয়া খনন

  • সেখের দীর্ঘীর প্রস্তর ফলকে যাহা লিখিত আছে তাহার অনুবাদ এইরূপ,-ঈশ্বর বলিয়াছেন, যে একটা পুণ্যকাৰ্য্য করে, তিনি তাহাকে তাহার দশ গুণ ফলপ্রদান করেন। এই জলাশয় স্বল্তান সৈয়দ আসরফউল হোসেনীর পুত্র আলাউদ্দীন দুনিয়াউদ্দীন আবুল মজঃফর হোসেন সাহার সময়ে খনিত হইল। ঈশ্বর তাহার রাজ্য ও রাজত্বকে চিরস্থায়ী করুন। রবিয়সূসানি মাস, ৯২১ সাল হিজরী।