পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। ર(t's কাণীমবাজার বাণিজ্য-বিষয়ে বাঙ্গলার সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করে । খৃষ্টীয় সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে কাশীমবাজার এরূপ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল যে, পদ্মা হইতে জলঙ্গী পৰ্য্যন্ত ভাগীরথীর অংশ সচরাচর ইউরোপীয়গণ কর্তৃক কাশীমবাজার নদী নামে অভিহিত হইত। পদ্মা, ভাগীরথী ও জলঙ্গীর মধ্যস্থিত ত্রিকোণ তৃভাগ কাশীমবাজার দ্বীপ আখ্যা প্রাপ্ত হয় । * অষ্টাদশ শতা দীর শেষভাগে মেজর রেনেল কাশীমবাজার দ্বীপের একখানি মানচিত্র অঙ্কিত করিয়াছিলেন । পদ্মা, ভাগীরথী ও জলঙ্গীর প্রবাঙ্গের জন্ত কাশীমবাজার বাণিজ্যোপযোগী স্থান হইয়া উঠে। কিন্তু সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতেও ভাগীরথীর প্রবল প্রবাহের উল্লেখ দেখা যায় না। সপ্তদশ শতাব্দীতে বাৰ্ণিয়ার ও টেভারনিয়ার কাশীমবাজারে আগমন করেন । বাৰ্ণিয়ার ভাগীরথীর সঙ্কীর্ণ প্রবাহের জন্ত তাহার মোহানা মুতী হইতে স্থলপথে আসিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। টেভারনিয়ার উহাকে একটা ক্ষুদ্র খাল বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন । বাঙ্গলার প্রথম স্বাধীন ইংরাজ অধ্যক্ষ মিষ্টার হেজেস ১৬৮৩ খৃষ্টাব্যের এপ্রিল মাসে নদীয়া হইতে মুর্শিদাবাদের মহুলায় উপস্থিত হন, পরে তথা ইইতে জলপথে কাশীমবাজারে আগমন করা দুষ্কর মনে করিয়৷ স্থলপথেই আসিয়াছিলেন । । ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দে সিরাজ উদ্দৌলা কর্তৃক কলিকাতা আক্রমণের পর মিষ্টার হলওয়েল মুশিদাবাদে আসিবার জন্ত কতক দুর বজরায় আসিয়া পরিশেষে ডিঙ্গি • Ormes Indostan Vol. II. P. 1 r. اة

  • Calcutta Review, April 1892.