পাতা:মৃচ্ছকটিক.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক । দৃশ্য –চাৰুদত্তের গৃহ। উত্তরীয় হস্তে মৈত্ৰেয়ের প্রবেশ । মৈত্ৰেয় । “অন্য কোন ব্রাহ্মণকে নিমন্ত্রণ করা যাক।” আমি মৈত্রেয় আমাকে কি না এখন পরের ঘরে নিমন্ত্রণ খেয়ে খেয়ে বেড়াতে হচ্চে । হা ! আমার কি শোচনীয় অবস্থা ! কিছু দিন পূৰ্ব্বে চারুদত্তের দৌলতে, অহোরাত্র সুগন্ধ মোদক আহার করে’ উদগার করতেম ; চতুঃশালা-ঘরের মধ্যে বোসে, নানাবিধ ব্যঞ্জনপাত্রে পরিবৃত হয়ে, চিত্রকরের মত অঙ্গুল দিয়ে চেচে-পুচে সমস্ত শেষ করতেম ; নগর-চত্বরের বৃষভের মত বসে বসে রোমন্থন করতেম ; সেই আমি এখন কিনা দরিদ্রতার দরুণ, যেখানে সেখানে চরে বেড়িয়ে ঘোরো পায়রার মত এখন গৃহে ফিরে আসূচি। ভাল কথা, চারুদন্তের প্রিয়সখা চূৰ্ণবৃদ্ধ জাতী-কুমুমবাসিত এই উত্তরীয়টি পাঠিয়েছেন—চারুদন্তের দেবকাৰ্য্য শেষ হলে এইটি তাকে দিতে বলে’ দিয়েছেন। আচ্ছ তবে চারুদত্তকে জিজ্ঞাসা করি—এই যে, চারুদত্ত দেবকার্যা সম্পন্ন করে গৃহদেবতাদের পূজা দিয়ে এই দিকেই আসূচেন। চারুদত্ত ও রদনিকার প্রবেশ । চারু । (উদ্ধে অবলোকন করিয়া উদাসভাবে নিঃশ্বাস ফেলিয়া ) যে গৃহ-অঙ্গনে মোর ংস ও সারসকুল বলিদ্রব্য করিত ভক্ষণ তৃণাচ্ছন্ন সেই স্থানে কীট-মুখ-দংষ্ট বীজ এবে দেখ হয়েছে পতন ॥ ( ধীরে ধীরে পরিক্রমণ করিয়া উপবেশন ) বিদু —এই যে চারুদত্ত। ওঁর নিকটে তবে যাওয়া যাক। (নিকটে গিয়া ) কল্যাণ হোক, শ্ৰীবৃদ্ধি হোক !