পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: *. ; ** ♥ዓ cश् ? भी ! ম। তবে আমি তোমাকে লজ্জা করিব ন—তুমি আমাকে লজ্জা করিবে ? হেমচন্দ্র হাসিলেন—কছিলেন, “আমার বক্তব্য তোমার পিতামহকে জানাইতে পারিলাম না,—তাহার উপায় কি ?” - ম। আমি বলিতেছি । এই বলিয়া মনোরমা মৃন্থ মৃত্ন স্বরে জনাৰ্দ্দনের নিক্সট হেমচন্দ্রের অভিপ্রায় জানাইলেন । হেমচন্দ্র দেখিয়া বিস্মিত হইলেন যে, মনোরমার সেই মৃত্যু কথা বধিরের বোধগম্য छ्हेंकन । - - - ব্ৰাহ্মণ আনন্দিত হইয়া রাজপুত্রকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । এবং কহিলেন, “মনোরম, ব্রাহ্মণীকে বল, রাজপুত্র ডাহার নাতি হইলেন—আশীৰ্ব্বাদ করুল " এই ৷ বলিয়া ব্রাহ্মণ স্বয়ং “ব্রাহ্মণী ! ব্রাহ্মণী ? বলিয়া ডাকিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মী তখন । স্থানান্তরে গৃহকার্ষ্যে ব্যাপৃত ছিলেন-ডাক শুনিতে পাইলেন না। ব্রাহ্মণ অসন্তুষ্ট হইয়া । বলিলেন, “ব্রাহ্মণীর ঐ বড় দোষ। কাণে কম শোনেন ।” তৃতীয় পরিচ্ছেদ্ধ নৌকাযানে * হেমচন্দ্র ত উপবনগৃহে সংস্থাপিত হইলেন। আর মৃণালিনী ? নির্বাসিত, পরপীড়িত, সহায়হীন মৃণালিনী কোথায় । সান্ধ্য গগনে রক্তিম মেঘমালা কাঞ্চনবর্ণ ত্যাগ করিয়া ক্রমে ক্রমে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করিল। রজনীদত্ত তিমিরাবরণে গঙ্গার বিশাল হৃদয় অস্পষ্টীকৃত হইল। সভামণ্ডলে পরিচারকহন্তজালিত দীপমালার স্থায়, অথবা প্রভাতে উষ্ঠানকুসুমসমূহের স্বায়, আকাশে নক্ষত্রগণ ফুটিতে লাগিল। প্রায়ান্ধকার নদীছদয়ে নৈশ সমীরণ কিঞ্চিৎ খরতরবেগে বহিতে লাগিল। তাহাতে রমণীহৃদয়ে নায়কসংস্পৰ্শজনিত প্রকম্পের ন্যায়, নদীবক্ষে তরঙ্গ উখিত হইতে লাগিল। কুলে তরঙ্গভিঘাতজনিত ফেনপুঞ্জে শ্বেতপুষ্পমালা গ্রথিত হইতে লাগিল । বহু লোকের কোলাহলের স্থায় বীচিরব উখিত হইল। নাবিকের নৌকাসকল তীরলগ্ন করিয়া রাত্রির জন্ম বিশ্রামের ব্যবস্থা করিতে লাগিল। তন্মধ্যে একখানি ছোট ডিঙ্গী অঙ্ক