পাতা:মৃণ্ময়ী (কপালকুণ্ডলা দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গত-চিন্তনে । રહેઃ ইয়া কিরূপে পৰ্যবসিভ ইণ্ডেছে গল্প বর্ণনা করা দুঃসাধ্য ? সংসার আশার মায়ায় আচ্ছন্ন মানবদুল্ল মাত্রই আশা রাশি পরিপ্লক্ত। অতি দুঃখের সময়ও আশা আলি সুখের বার্তা কছে, ও ভাষা অনায়াসলভ্য বলিয়া ৰোধ জন্মায়। মুখ দুৰ্দ্দমনীয় বেগে তৎপ্রতি ধাবিত হয়। কুহকিনী আশা নবকুমারের কর্ণেও মন্ত্র চালিত করিল। আশার দিগন্তব্যাপক ক্ষিপ্র পক্ষে আরোহণ করিয়া কখন উপহার মন কপালকুণ্ডলার নিষ্কলঙ্ক হাস্যময় বদনে চুম্বন করিতে লাগিল, কখন বা ভাষার চরণতলে পতিত হইয়া স্বীয় দোষ স্বীকার কবিয়া কৃমা চাছিতে লাগিল, কখন বা আলিঙ্গন বদ্ধ হইয়া বিগত দুঃখের কথা আলোচনা করিতে লাগিল । পরক্ষণেই আশার কুহক ভাগ করল, অমনি পাছে কপালকুণ্ডাকে ল। পাই বলিয়া আশঙ্কার উহার হৃদয় ব্যথিত হইল । প্রেমময়ী মৃন্ময়ী সমক্ষে তিনি কি বলিয়া কথা কহিবেন এবং কিরূপেই বা স্বীয় নিষ্ঠুর নীচ দৃষ্টি তদীয় দয়াময়ী পবিত্র দৃষ্টিৰ সহিত সংমিলিত করিবেন ঐ চিন্তু তাছাকে দাৰুণ ত্ৰিয়মাণ ও লজ্জত করিতে লাগিল্প । কখন বা, কপালকুণ্ডলা জীবিত আছেন, অদ্য হউক, কুল্য হউক, বা দশ দিন পরে হউক, তাহার সহিত সাক্ষাৎ হুইৱেই হইবে, এই অপার আনন্দ , উছার মনকে মাচাইতে লাগিল। এই সকল বিষয়, আলোচনা করিতে করিতে কপালকুণ্ডল সম্বন্ধীয় জামুল কথা-তাম্বার স্মৃডিপথে সমুদিত হইল। সেই নবজলন্ধর মিডৰীলসমুদ্রতটস্থ বনময়ে যে জাগুলফলম্বিত কেশরাশিসস্তৃত রমণীর দর্শন করিয়া উহার চিত্রিত পুতলী অথবা দেবী ললিয়া জুম জঙ্কিয়াছিল, তাছা মনে পড়িল। “পথিক ! খুৰি পথ হুরাইয়াৰ ?” বগাৰিলিদিত সুমধুর স্বরে কপালকুণ্ডলা । প্রখম মাখাতে মৰকুমারকে এই কুঞ্জ বলিয়াছিলেন, তাছা মনে